আজঃ বুধবার ● ২৫শে বৈশাখ ১৪৩১ ● ৮ই মে ২০২৪ ● ২৭শে শাওয়াল ১৪৪৫ ● রাত ৪:৩০
শিরোনাম

By মুক্তি বার্তা

জায়গার নাম ‘ভাতের ভিটা ঢিবি’- সাজেদ রহমান

ফাইল ছবি

জায়গার নাম ‘ভাতের ভিটা ঢিবি’। যশোর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দুরে। যশোর-মাগুরা সড়কের আড়পাড়া বাজার পার হয়ে দেড় কিলোমিটার মাগুরার দিকে যাওয়ার পর একটি মোড় আছে। সেই মোড় থেকে ১ কিলোমিটার পশ্চিমে গেলে মঘি ইউনিয়নের টিলা গ্রাম। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ফটকী নদী। এই গ্রামে এই ভাতের ভিটা ঢিবির অবস্থান। এটি একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এখানে খনন কাজ শুরু করে। খনন চালিয়ে এখান মোর্য্য থেকে গুপ্ত সাম্রাজ্যের একটি বৌদ্ধ সংঘের অস্তিত্ব খুঁজে পায়। ভাতের ভিটা সম্পর্কে কিংবদন্তী আছে যে, কোন সময় অলৌকিক ক্ষমতাধর একজন দরবেশ রাতে এই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় এই স্থানে একটি মসজিদ নির্মাণ শুরু করেন। কিন্তু নির্মাণ কাজে নিয়োজিতদের ভাত রান্না শেষ হয়ে গেলেও মসজিদ নির্মাণ শেষ হয় নি।

ইতিমধ্যে ভোরের পাখ-পাখালী ডাকতে শুরু করলে দরবেশ নির্মাণ কাজ অসমাপ্ত রেখে চলে যান। সকালে গ্রামের লোকজন দেখতে পায় এখানে একটি অসমাপ্ত মসজিদ নির্মিত হয়েছে। এছাড়া দেখতে পায় ঢিবির উপর রান্না করা ভাত ও ঢিবি থেকে ভাতের ফ্যান গড়িয়ে একটি পুকুর তৈরি হয়েছে। সেই থেকে এই স্থানের নাম ভাতের ভিটা। এছাড়া ভাতের ফ্যান গড়িয়ে যে পুকুর তৈরি হয়েছিল সেই দিঘীর নাম রাখা হয় ফ্যানঘালী পুকুর। ভাতের ভিটার পাশে একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে একটি মসজিদ। খনন করার পর এখানে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার সাদৃশ ছোট বহুকক্ষবিশিষ্ট ইমারতের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। একটু বেড়িয়ে উপভোগ করতে সেখানে গিয়েছিলাম।

মুবার্তা/এস/ই

ফেসবুকে লাইক দিন