আজঃ বৃহস্পতিবার ● ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১ ● ২রা মে ২০২৪ ● ২২শে শাওয়াল ১৪৪৫ ● সকাল ৮:৪১
শিরোনাম

By মুক্তি বার্তা

বাস চাপায় তিনশিশুকে হারানোর বেদনায় নিস্তব্ধ পরিবার

ফাইল ছবি

তিনশিশু নানার বাড়িতে পুলকিত, উল্লাসিত, আহ্লাদের পাত্র হবার আগেই বেপরোয়া বাস তাদের চাপা দেয়। রক্তাক্ত করে দেয় মুহূর্তেই। মেহেদীর রং মুছে যায় রক্তের স্রোতে। নিস্তব্ধ দেহ পড়ে রয় রাস্তায়। নিভুনিভু করে দম। মানুষ এগিয়ে আসে। পৌঁছে দেয় হাসপাতালে। চলে চিকিৎসকদের বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টা। তবে মৃতপ্রায় প্রাণ আর ফেরে না। চিকিৎসক, নার্সদের আপ্রাণ চেষ্টাকে তুচ্ছ করে চলে যায় প্রাণ।

নানার বাড়ি যেতে চেয়েছিল সিলেটের ওসমানীনগরের ব্রাহ্মণগামের কামরু মিয়ার দুই মেয়ে খাদিজা (২) ও কারিমা (৪) এবং তাদের চাচাতো বোন আরিফা (১৪)। এজন্য খালার সাথে সিএনজি অটোরিকশা যোগে মৌলভীবাজার যাওয়ার উদ্দেশ্য রওনাও হয়েছিলো। পরনে ছিলো সুন্দর জামা-কাপড়, হাতে মেহেদীর রং, সৌখিন চুড়ি। শিশুসুলভ মনে ছিলো বাঁধন হারা উল্লাস।

বিষাদময় হয়ে উঠে এলাকার পরিবেশ। এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। পরিবারের তিনশিশুকে হারানোর বেদনায় নিস্তব্ধ হয়ে পড়েছে পরিবার।

এদিকে বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভাঙ্গা নামক স্থানে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় ৮ যাত্রীর মধ্যে বেঁচে থাকা দুজন এখনও চিকিৎসাধীন আছেন। তবে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এ দুজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

আর দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ৬ জন। নিহতরা হলেন, ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউপির পশ্চিম ব্রাহ্মণগামের কামরু মিয়ার দুই শিশুকন্যা খাদিজা (২) ও কারিমা (৪), কমরু মিয়ার বড় ভাই ফজলু মিয়ার শিশুকন্যা ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরিফা (১৪), মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ভাদ্র গ্রামের আওয়াল মিয়ার স্ত্রী হামিদা (২৮) তিনি কমরু মিয়ার স্ত্রীর বড়বোন, ওসমানীনগর উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে অটোরিকশা চালক জুনাইদ (২৮) ও একই গ্রামের ইউসুফ উল্যার ছেলে জাহাঙ্গীর মিয়া।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিলেটগামী মামুন বাস শেরপুরগামী অটোরিকশা (সিএনজি) কে চাপা দিলে অটোরিকশার ২ যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। গুরুতর আহত আরও ৪ জনকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরও দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। এর কিছুসময় পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়।

ওসমানীনগর থানার ওসি শ্যামল বণিক বলেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভাঙ্গা নামক স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ জন মারা গেছেন। আর দুজন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তবে তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

মুবার্তা/এস/ই (সু/নি)

ফেসবুকে লাইক দিন