By মুক্তি বার্তা
চৌগাছায় আবারও স্বাস্থ্য খাতে অভিযান, ১ ডায়গনস্টিক সেন্টার ও ২ ডেন্টাল সিলগালা
চৌগাছা প্রতিনিধিঃ চৌগাছার প্রাইভেট ক্লিনিকে রবিবার দুপুর ১২ টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত শহরের এসব ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে এই নির্দেশ দেয়া হয়।
যশোরের সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন এবং যশোর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মীর আবু মাউদের নেতৃত্বে অভিযানে অংশ নেন যশোর মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আব্দুর রহিম মোড়ল, চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোছাঃ লুৎফুন্নাহার লাকি, যশোর সদর উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর পার্থ প্রতিম লাহিড়ী, চৌগাছা উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর নিয়ামত আলী, চৌগাছা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গিয়াস উদ্দিনসহ পুলিশ সদস্যরা। এসময় স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানকালে পল্লবী ক্লিনিককে ২০১৬ সালের পর তাদের কাগজপত্র নবায়ন না করা, কেবিনসহ ১০ বেডের প্রাইভেট হাসপাতালের অনুমোদন চাওয়া হলেও অতিরিক্ত বেড এবং কেবিন থাকা, পর্যাপ্ত ডিপ্লোমা নার্স না থাকা, অপারেশন থিয়েটার, প্যাথলজি রুম (ল্যাব) অপরিচ্ছন্ন থাকা, দীর্ঘদিনের মেডিকেল ডাস্ট আন্ডার গ্রাউন্ডের একটি কক্ষে রেখে দেয়াসহ নানা ত্রুটি ২৩ অগস্টের মধ্যে সংশোধনের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। এসময় এর আগে ৬ আগস্ট অভিযানে ক্লিনিকটির চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ রাখা এবং ভর্তি সকল রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থানান্তর করার নির্দেশ দেয়া হলেও তা না করায় প্রতিষ্ঠানটিকে তিরস্কার করা হয়। অভিযানের সময় ডক্টরস প্যাথলজি ও এস ডেন্টাল কেয়ার বন্ধ পাওয়া যায় এবং ক্রিসেন্ট ডেন্টালকে সতর্ক করা হয়। এছাড়া মধুমতি হাসপতাল ও কপোতাক্ষ ক্লিনিকের নবায়নের জন্য ইন্সপেকশন করা হয়। এছাড়া মায়ের দোয়া ক্লিনিক ৬ আগস্টের অভিযানে বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেয়ায় সেটি বন্ধ রয়েছে। অভিযানকালে আধুনিক ডেন্টালের কামরুল ইসলাম অবৈধভাবে প্রেসক্রিপশন প্যাডে ডাক্তার লেখায় তার প্রায় তিনশ প্রেসক্রিপশন প্যাড পুড়িয়ে দেয়া হয়।
ক্লিনিকগুলোকে আগামী ২৩ আগস্টের মধ্যে লাইসেন্স নবায়নসহ ডাক্তার ও নার্সদের কাগজপত্র প্রদর্শন ও যে ক্লিনিকে যে যে ত্রুটি রয়েছে তা সমানাধ পূর্বক প্রদর্শন করতে হবে। পরবর্তী পরিদর্শনের সময়ে নবায়নসহ সকল কাগজপত্র ও সার্বিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে না পারলে ক্লিনিকগুলোকে স্থায়ীভাবে সিলগালা করে দেয়া হবে।
এ বিষয়ে অভিযানের নেতৃত্ব দেয়া যশোরের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ও যশোর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মীর আবু মাউদ বলেন অভিযানকালে বিশ্বাস ডায়গনস্টি সেন্টার, মা ডেন্টাল কেয়ার, মর্ডান ডেন্টাল ও মেডিকেল সার্ভিস নামের তিনটি প্রতিষ্ঠানে তালা মেরে দেয়া হয়েছে।
এছাড়া পল্লবী ক্লিনিককে ২০১৬ সালের পর কাগজপত্র নবায়ন না করা, ১০ বেডের প্রাইভেট হাসপাতালের অনুমোদন চাওয়া হলেও ক্লিনিকটিতে ১০টির অতিরিক্ত রোগী বেড এবং কয়েকটি কেবিন রয়েছে। এছাড়াও দীর্ঘদিনের মেডিকেল ডাস্ট ক্লিনিকটির আন্ডার গ্রাউন্ডের একটি কক্ষে রেখে দেয়া হয়েছে। তাদেরকে আগামী ২৩ আগস্টের মধ্যে এসব বিষয়গুলির সমাধান করার নির্দেশের পাশাপাশি পর্যাপ্ত ডিপ্লোমা নার্স রাখা, অপারেশন থিয়েটার ও প্যাথলজি রুম (ল্যাব) পরিচ্ছন্ন রাখা এবং পর্যাপ্ত ডাস্টবিন রাখার জন্য বলা হয়েছে। তিনি জানান একইদিন মধুমতি হাসপাতাল ও কপোতাক্ষ ক্লিনিক ইন্সপেকশন করা হয়। তাদের অনুমোদনের জন্য ত্রুটিগুলিও ২৩ আগস্টের মধ্যে সমাধান করে নিতে বলা হয়েছে।
মুবার্তা/এস/ই