আজঃ বুধবার ● ৩১শে বৈশাখ ১৪৩২ ● ১৪ই মে ২০২৫ ● ১৫ই জিলক্বদ ১৪৪৬ ● সন্ধ্যা ৬:৫০
শিরোনাম

By মুক্তি বার্তা

৯৯৯ এ কল, অতপর গভীর পুকুর থেকে বৃদ্ধাকে উদ্ধার

ফাইল ছবি

পুকুরের একটি বাঁশঝাড়ের একটি বাঁশ আকড়ে ধরে কান্না করছিলেন এক বৃদ্ধা। পরে কয়েকজন মিলে ৯৯৯-এ যোগাযোগ করে উদ্ধার করলেন সেই বৃদ্ধ মহিলাকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন আসলাম জনি নামের এক ব্যক্তি।

সিরাজগঞ্জের একটি বিয়ে বাড়িতে রাতের খাবার খাচ্ছিলেন কয়েকজন। তার মধ্যে একজন এসে বললো বাড়ির পাশের পুকুর থেকে মানুষের কান্নার আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। সবাই খাবার রেখে দ্রুত ঘটনাস্থলে গেলেন।

চারদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। তাছাড়া লোকমুখে এই পুকুর নিয়ে নানা কথা প্রচলিত রয়েছে। সবাই ভয়ে ভয়ে খুঁজতে লাগলো আওয়াজের সূত্র কোথায়। কিন্তু পুকুরের এক পাশে গেলে আওয়াজ অন্যপাশ থেকে শোনা যাচ্ছিলো।

আওয়াজ শুনে মনে হচ্ছিলো কোনো প্রসূতি নারী প্রসব বেদনায় কাতরাচ্ছে। কান্নার আওয়াজ বাড়ে-কমে আবার বন্ধ হয়ে যায়। পুকুরের চারদিকে বাশ ঝাড়ে ঘেরা থাকায় কেউ কোনো কূল কিনারা খুঁজে পাচ্ছিলো না। হঠাৎ আবার কেমন যেন বিড়বিড় করে কথা বলার আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছিলো। মনে হচ্ছিলো কেউ গান গাচ্ছে। স্পষ্ট মানুষের গলার আওয়াজ। কিন্তু পুরো পুকুরে বা আশেপাশে কেউই কোনো কিছুর অস্তিত্ব খুঁজে পাচ্ছিলো না। শুধু কান্নার আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছিলো। যার ফলে ভয়ে গা ছমছম করছিলো সবার। কিন্তু তারা চলে আসতে পারছিলেন না। কারন বারবার তাদের মনে হচ্ছিলো কেউ খুব বিপদে আছে।

এভাবে প্রায় এক ঘন্টা খোঁজার পর হঠাৎ করে তাদের চোখে পড়লো মানুষের নাকের মত কিছু একটা। দেখে মনে হচ্ছিলো মানুষের মুখোশ। ধীরে ধীরে লাইট মারার পর তারা নিশ্চিত হলেন এখানে একজন মানুষ আছে। মানুষটা একটা বাশ গাছ ধরে কোনোভাবে নাকটা বের করে রেখেছে।

এ ঘটনার পরপরই ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে ফায়ার সার্ভিস এবং কামারখন্দ থানায় জানালেন তারা। প্রায় ৩০ মিনিট পর ফায়ার সার্ভিসের লোকজন নিয়ে পুকুর থেকে তাকে উদ্ধার করা হলো। উদ্ধার করার সময় দেখা গেলো ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধা। তার গায়ে কোনো কাপড় ছিল না। পরে পাশের ঘর থেকে কাপড় এনে তাকে পরিয়ে হাসপাতাল পাঠানো হলো।

ওই মহিলাকে দেখতে মানসিক সমস্যার একজন রোগীর মত মনে হচ্ছিলো। তিনি কথা বলতে পারছিলেন না। তাই তার পরিচয় এবং কিভাবে পুকুরে পড়লেন তার কিছুই জানা যায়নি

মুবার্তা/এস/ই/অনলাইন ডেস্ক

ফেসবুকে লাইক দিন