By মুক্তি বার্তা
কাজ না করেই বেতন ভাতা নিচ্ছেন
অনলাইন ডেস্কঃ কাজ না করেই বেতন ভাতা নিচ্ছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা। তবে কোরবানির বর্জ্য অপসারনে তারা যথেষ্ট পরিমান কাজ করছে। কিন্তু ঈদের পর থেকেই অনিয়মিত কাজ করছে অনেক পরিচ্ছন্নকর্মী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে ডিএনসিসির অধিনে প্রায় চার হাজার পরিচ্ছন্ন কর্মী রয়েছে। কিন্তু এরমধ্যে সহস্রাধিক কর্মী ঠিকমত কাজ না করেই বেতন নিচ্ছে। এতে যথাসময়ে নগরীর বর্জ্য অপসারন হচ্ছে না। অন্যদিকে, পরিচ্ছন্নকর্মীদের অসাবধানতার কারণে খোলা ট্রাকে বর্জ্য পরিবহন করা হয়। ত্রিপল দিয়ে ট্রাকের ডালা না ঢাকার কারণে ময়লা-আবর্জনা রাস্তায় পড়ে। আবার ডালা ঢাকলেও সেই ত্রিপল থাকে ছেঁড়া। এতে সড়কে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। সব মিলেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অরাজকতা চলছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নিয়ে অনিয়মের বিষয়ে মেয়রের কাছে একাধিক এমন অভিযোগ এসেছে বলে ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, ওয়ার্ডগুলোতে পরিচ্ছন্নতাকর্মী উপস্থিতি কম। অনেক রাস্তা ঝাড়ূ দেওয়া হয় না। ক্লিনারদের উপস্থিতি ও কাজের মান ভালো নয়। গড়ে প্রায় অর্ধেক ক্লিনার হাজির পাওয়া যায় না। তাদের মধ্যে নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও দায়িত্বশীলতার অভাব পরিলক্ষিত হয়। শ্রমিকদের দক্ষতা কম। বর্জ্যবাহী গাড়ির সংখ্যা কম ও গুণগতমান ভালো নয়। পর্যাপ্ত গাড়ি না থাকায় সারা দিন বর্জ্য অপসারণ করা হয়। ফলে সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে বর্জ্য জমা থাকে ও আশপাশে বর্জ্য ছড়িয়ে পরিবেশ দূষিত হয়। অত্যন্ত ভাঙ্গাচোরা খোলা ট্রাকে ছেঁড়া ত্রিপল দিয়ে ঢেকে আবর্জনা নেওয়া হয়। ফলে রাস্তাঘাটে আবর্জনা পড়ে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া, বেসরকারি কার্যক্রম তত্তাবধানের লোকবলও কম। এরমধ্যে গুলশান বনানী এলাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খুবই খারাপ বলে জানা গেছে। তবে অন্য এলাকাগুলোতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অবস্থা খুবই খারাপ। কারণ ওইসব এলাকাতে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে তেমন কোন মনিটরিং করা হয় না। যার ফলে ইচ্ছেমত কাজ করছে অনেক পরিচ্ছন্নকর্মী। আর কাজ না করেই বেতন ভাতা নিচ্ছে তারা। ডিএনসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, বর্জ্য অপসারন নিয়ে পরিচ্ছন্নকর্মীদের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে অভিযোগের শেষ নেই। মূলত তাদের গাফলতির কারণেই বর্জ্য অপসারন নিয়ে নানা জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিষয়ে তাদের কড়া নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কারো গাফলতি পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, তবে এবার কোরবানির বর্জ্য অপসারনে তারা যথেষ্ট পরিমান কাজ করেছে। কিন্তু এরপর থেকে অনেক পরিচ্ছন্নকর্মী ঠিকমত কাজ করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
মুবার্তা/এস/ই