মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে বাঁশখালী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় কাউন্সিলর আজগর হোসেনের ব্যক্তিগত শালিস কেন্দ্রে ওই ঘটনার শালিস করার সময় পুলিশ সেখান থেকে এক ধর্ষককে গ্রেফতার করে। তবে অপর ধর্ষক পালিয়ে গেছে। এদিকে ধর্ষিতা কিশোরী বাদি হয়ে বাঁশখালী থানায় মামলা দায়েরের পর বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
জানা গেছে, ১৪ বছর বয়সী ওই ধর্ষিতা কিশোরীর বাবা কয়েক বছর আগে তার মাকে ছেড়ে অন্যত্র সংসার পাতেন। অন্যদিকে অভাবের সংসারে কিশোরীর মা গৃহপরিচারিকার কাজ নিয়ে চলে যান ওমানে। বাবা-মা হারা কিশোরীটি একা হয়ে পড়লে এবাড়ি-ওবাড়ি কাজ করে পেট চালাতে তাকে। ছয় মাস আগে বাঁশখালী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের লস্করপাড়ার মকসুদুল হকের বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে তাকে আশ্রয় দেওয়া হয়।
জানা গেছে, গৃহকর্তা মকসুদুল হকের দুই ছেলে শহীদুল ইসলাম ও জিয়াউল হকের ধর্ষণে ওই কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়লে বাঁশখালীর স্থানীয় ছৈয়দুল আলম নামের এক ব্যক্তির স্ত্রী নার্গিস আক্তারের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে গত সোমবার (৩১ আগস্ট) কিশোরীর গর্ভপাত ঘটানো হয়।
এ ঘটনার কথা প্রকাশ হয়ে পড়লে মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে বাঁশখালী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় কাউন্সিলর আজগর হোসেনের মিয়াবাজারের ব্যক্তিগত শালিস কেন্দ্রে সালিশি বৈঠক বসে। কিন্তু ধর্ষক দুই ভাইকে পুলিশে না দিয়ে সালিশি বৈঠক বসানোর ঘটনায় গ্রামবাসী প্রতিবাদ জানালে নিরুপায় হয়ে কাউন্সিলর আজগর পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে ধর্ষক শহীদুল ইসলামকে গ্রেফতার করলেও তার ভাই অপর ধর্ষক জিয়াউল হক পালিয়ে যায়।
এদিকে ধর্ষিতা কিশোরী দুই ধর্ষকের নাম বললেও মামলার এজাহারে কেবল শহীদুল ইসলামকেই আসামি করা হয়েছে। এছাড়া টাকার বিনিময়ে গর্ভপাত ঘটানো নার্গিস আক্তারকে ১ নম্বর সাক্ষী করা হয়েছে। অপর ভাইকে আসামি না করার বিষয়ে বাঁশখালী থানার উপ-পরিদর্শক নাজমুল হক বলেন, ‘অপর ধর্ষক জিয়াউল হক নগরীর বাকলিয়া থানা এলাকা ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে। সে কারণে ওই ধর্ষকের মামলা বাকলিয়া থানায় করতে হবে। তাই এজাহারে জিয়াউল হককে আসামি করা হয়নি।’
মুবার্তা/এস/ই