আজঃ শনিবার ● ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ ● ১৮ই মে ২০২৪ ● ৯ই জিলক্বদ ১৪৪৫ ● রাত ১১:২৭
শিরোনাম

By মুক্তি বার্তা

এমপিওভুক্ত হতে অধ্যক্ষের জালিয়াতির প্রমাণ মিলেছে

ফাইল ছবি

নিউজ ডেস্কঃ ভুয়া ইনডেক্স দেখিয়ে জালিয়াতি করে এমপিওভুক্ত হয়েছেন রাজধানীর টিএন্ডটি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মহসিন হোসেন। ভুয়া ইনডেক্স নম্বর দেখিয়ে এমপিওভুক্ত হলেও এর আগে তার কোন ইনডেক্স ছিলনা। এমপিওভুক্ত হতে অধ্যক্ষের এ জালিয়াতির প্রমাণ মিলেছে। তাই, তার বেতন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একইসাথে অধ্যক্ষকে শোকজ করতে বলা হয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তরকে।

মন্ত্রণালয় সূত্র গণমাধ্যমকে জানায়, টিএন্ডটি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মহসিন হোসেনের এমপিওভুক্তি নিয়ে অভিযোগ উঠলে তা তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে। গত ৮ জুন অধিদপ্তর শিক্ষা অধিদপ্তর মন্ত্রনণালয়ে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ভুয়া ইনডেক্স নম্বর দেখিয়ে অধ্যক্ষ গত নভেম্বর মাসে এমপিওভুক্ত হয়েছেন। এ পদে এমপিওভুক্ত হওয়ার আগে তার কোন ইনডেক্স ছিল না।

সূত্র গণমাধ্যমকে আরও জানায়, অভিযোগ প্রমাণ পাওয়ায় অধ্যাপক ড. মো. মহসিন হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অধ্যক্ষের বেতন বা এমপিও সাময়িকভাবে স্থগিত করতে বলা হয়েছে। আর জালিয়াতি করে এমপিওভুক্ত হওয়ায় তার এমপিও কেন বাতিল করা হবে না-তা জানতে চেয়ে অধ্যক্ষকে শোকজ করতে বলা হয়েছে। গত ২ সেপ্টেম্বর এসব নির্দেশনা দিয়ে শিক্ষা অধিদপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটিতে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে নিয়োগের পর গত নভেম্বর মাসে এমপিওভুক্ত হন অধ্যক্ষ ড. মো. মহসিন হোসেন। যথাযথ যোগ্যতা না থাকার পরও তাকে রাজধানীর টিএন্ডটি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়া নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। 

জানা গেছে, ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের জুন মাসে কলেজের গভর্নিং বডির সুপারিশের আলোকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মহসীন হোসেনকে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের অনুমতি দেন। সে আলোকে একই বছরের ৩০ জুন অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন তিনি। কিন্তু তিনি যে এমপিওভুক্তির ইনডেক্স ব্যবহার করেছেন তা ভুয়া। আসাদুল হক নামের আরেক শিক্ষকের ইনডেক্স নম্বর তিনি ব্যবহার করেছেন। তথ্য গোপন করে অধ্যক্ষ পদে এমপিওর আবেদন করলে আবেদন ফিরিয়ে দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। এমপিও না দেয়ায় উচ্চ আদালতে রিট মামলা করেন মহসীন। পরে, এমপিওভুক্ত হন।

কলেজ সূত্রে জানা যায়, প্রথমে এমপিওর আবেদনে ইনডেক্স নম্বর দেননি তিনি। পরে যখন এমপিওর ইনডেক্স নম্বর চাওয়া হয় তখন তিনি এমপিও শিট জমা দেন। তবে সেটি অন্য জনের বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কয়েকটি সূত্র গণমাধ্যমকে জানায়, ফরিদপুর সিটি কলেজের ননএমপিও পদে চাকরির সাত বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। আর জিপিএ-৫ বাণিজ্যে অভিযুক্ত কুখ্যাত ক্যামব্রিয়ান কলেজের পাঁচ বছরের চাকরিকে অভিজ্ঞতা আছে। এরপর প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়োগ নিয়ে ভুয়া ইনডেক্স দেখিয়ে এমপিওভুক্ত হয়েছেন তিনি।

যদিও ভুয়া ইনডেক্স দিয়ে এমপিওভুক্ত হওয়ার পর অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে অধ্যাপক ড. মো. মহসিন গত ডিসেম্বরে সাংবাদিকদের বলেছিলেন,  একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

মুবার্তা/এস/ই

ফেসবুকে লাইক দিন