আজঃ বুধবার ● ১৮ই বৈশাখ ১৪৩১ ● ১লা মে ২০২৪ ● ২১শে শাওয়াল ১৪৪৫ ● সকাল ৭:৩০
শিরোনাম

মুক্তি বার্তা

যে যে খাদ্য খালি পেটে শিশুকে খাওয়ানো যাবে না

প্রতিকি ছবি

মানুষের ছয়টি মোলিক চাহিদা রয়েছে। তন্মধ্যে খাদ্যই হলো প্রধান। আর এই জন্যই খাদ্যের কথায় প্রথমে আসে। আর সেই জন্যই খিদে পেলে কী কারও মাথা ঠিক থাকে? সামনে যা আছে তাই পেটে চালান করে দিতে ইচ্ছে হয়। কিন্তু এমন কিছু খাবার আছে যা এমন খিদের সময়ে মোটেই খাওয়া ঠিক না। জেনে নিন কোন খাবারগুলি খিদের সময়ে একেবারেই খেতে নেই।


০১. বিস্কুট বা চিপস: এমনটা হতে পারে যে আপনি আর দুই ঘন্টা পর লাঞ্চ করবেন। তাই এখন ভারী কিছু খেতে চাচ্ছেন না। কিন্তু তা বলে বিস্কুট বা চিপস একেবারেই নয়! ছোট এক প্যাকেট বিস্কুট বা চিপস বেশিক্ষণ পেটে থাকবে না। এগুলিতে থাকা কার্বোহাইড্রেট কিছু ক্ষণের মধ্যেই হজম হয়ে যাবে। ফলে আপনার খিদে খিদে ভাব দ্রুত ফিরে আসবে। সে ক্ষেত্রে খেতে পারেন ২৫০-৩০০ ক্যালোরির কোনও খাবার। যেমন, একটা স্যান্ডউইচ বা একটা কেক।


০২. কমলালেবু, কফি বা সস: এই সব খাবার খালি পেটে খেলে অ্যাসিডিটি তৈরি করে। এতে পেট খারাপ হবার সম্ভাবনা তৈরি হয়। বিশেষ করে যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য খালি পেটে কফি পান করাটা অত্যন্ত ক্ষতিকর। ভাবছেন তাহলে খিদের সময়ে কী খাবেন? সবজি পেটের জন্য এতোটা ক্ষতিকর না। তাই সবজির সালাদ খেতে পারেন। সেদ্ধ ডাল বা মুরগীর মাংসও (মশলাদার হলে চলবে না) এ সময়ে খাওয়া যেতে পারে।


০৩. ফল: খালি পেটে ফল খেতে নেই- এই কথাটা আমরা আমাদের ছেলেবেলা থেকেই জানি। একটা আপেল বা একটা কলা খেয়ে বেশি ক্ষণ থাকতে পারবেন না। ফলে আপনার খিদে খিদে ভাব দ্রুত ফিরে আসবে। এর সঙ্গে আপনার খাওয়া উচিৎ কোনও প্রোটিন ধরণের খাবার। ফলের সঙ্গে খেতে পারেন সামান্য পরিমাণ বাদাম, পিনাট বাটার বা পনির।


০৪. ঝাল খাবার: মধ্যাহ্নভোজ (লাঞ্চ) সারতে দেরি হয় গিয়েছে। তাই হাতের কাছে পাওয়া ঝাল ঝাল কোনও মুখরোচক খাবার অর্ডার করে বসলেন আ তা দিয়েই মধ্যাহ্নভোজ সেরে নিলেন। এর ফলে কি হবে জানেন? আপনার হজমের সমস্যা তৈরি হবে। খালি পেটে ঝাল খাবার খেলে এই মশলা আপনার পাকস্থলীর আবরণের (স্টমাক লাইনিং) ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে। তাহলে কী করবেন? ঝাল ঝাল খাবার খাওয়ার আগে দুধ বা দই খেতে পারেন। এতে সরাসরি ঝালের প্রভাব পাকস্থলীর ওপর পড়বে না।

ফেসবুকে লাইক দিন