মুক্তি বার্তা
নিম পাতার কতো উপকারিতা জানলে অবাক…
আমরা একটি পরিবেশের সাথে নিজেদের জীবনকে মিলিয়ে দৈনন্দিন কাজকর্ম মিটিয়ে যাচ্ছি। চলছি প্রতিনিয়তই বেঁচে থাকার সংগ্রাম করে। প্রয়োজন মিটিয়ে যাচ্ছি সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রকৃতির বিভিন্ন অংশ নিয়ে। আবার শারীরিক থেকে শুরু করে শুরু অন্যান্য সমস্যার সমাধান করে থাকি প্রকৃতি থেকে। তেমনি প্রকৃতির একটি গাছ নিম। এগাছের পাতার গুন গেয়ে শেষ করা যায় না। নিম পাতা যে কতটা উপকারি তা সকলেরই জানা। চর্মরোগ ঠেকাতে একাই একশো এই পাতা। আয়ুর্বেদের একেবারে গোড়ার দিক থেকেই নিম পাতার জলে স্নান করার রীতি রয়েছে। মূলত ঋতুসন্ধির সময় অর্থাৎ ঋতু পরিবর্তনের সময় নিম পাতার জলে স্নান করলে তা শরীরে একটি ঢাল তৈরি করে যা আমাদের কমন ফ্লু কিংবা ঠান্ডা লাগা থেকে রক্ষা করে। দেহের অনাক্রম্যতা বৃদ্ধিতেও অবদান আছে নিম পাতার। এখন করোনার সময়েও অত্যন্ত অত্যাবশ্য়কীয় অনাক্রম্যতা।
নিম পাতার উপকারিতা: নিম পাতার জলে স্নান করলে ব্রণ, দাগ ও ব্ল্যাকহেডের সমস্যা থেকে মেলে রেহাই। শীতকালে উলের টুপি বা স্কার্ফ ব্যবহারের ফলে চুলের সমস্যাতেও কার্যকরী নিম পাতা যুক্ত জল। এমনকি খুসকির সমস্যার সমাধানও এই পাতা। চোখের অ্যালার্জি প্রতিরোধ করতে পারে নিম পাতা।
নিম পাতা ব্যবহারের সঠিক নিয়ম: প্রথমে বালতিতে দুটি নিম পাতা রাখুন। তারপর তাতে গরম জল ঢালুন। তারপর জল ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। জল ঠান্ডা হয়ে গেলে নিম পাতা সরিয়ে দিন। তারপর ব্যবহার করুন।
♣ অপর দিকে নিমের কাঠ খুব শক্ত। নিম কাঠে উইপোকা বাসা বাঁধে না। ফলে নিম কাঠে কখনও ঘুণ ধরে না। শুধু উইপোকাই নয়, নিম গাছে কোনও পোকাই বাসা বাঁধে না। তাই নিম কাঠ দিয়ে আসবাবপত্রও তৈরি করা হয়। আসুন এ বার নিমের ১০টি আশ্চর্য ওষধিগুণ ও কার্যকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক…
০১. নিম তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ই এবং ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা আমাদের ত্বক এবং চুলের জন্য খুবই উপকারী।
০২. নিমপাতা ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক (ফাঙ্গাস) বিরোধী। তাই ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের আক্রমণের হাত থেকে ত্বককে সুরক্ষিত করতে নিমপাতা খুবই কার্যকরী! ব্রণর সমস্যা থেকে দ্রুত নিস্তার পেতে নিমপাতা বেটে লাগাতে পারেন।
০৩. ত্বকের উজ্জলতা বাড়াতে নিয়মিত নিমপাতার সঙ্গে কাঁচা হলুদ ভাল করে বেটে মেখে দেখুন। খেয়াল রাখতে হবে, মিশ্রণে নিমপাতার চেয়ে হলুদের পরিমাণ যেন কম হবে। তবে হলুদ ব্যবহার করার পর কয়েক ঘণ্টা রোদ এড়িয়ে চলাই ভাল।
০৪. দাঁতের জন্য নিমের ডাল খুবই উপকারী। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে আর দাঁতের ফাঁকে জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ রোধ করতে নিম বেশ কার্যকরী।
০৫. কেটে-ছড়ে গেলে বা পুড়ে গেলে ক্ষত স্থানে নিম পাতার রস ভেষজ ওষুধের মতো কাজ করে।
০৬. নিম পাতা রোদে শুকিয়ে ভাল করে গুঁড়ো করে রেখে দিতে পারলে পরবর্তীকালে তা ফেস প্যাক হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
০৭. মাথার ত্বকের চুলকানির সমস্যায় নিমপাতার রস খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। নিমপাতার রস মাথায় নিয়মিত লাগাতে পারলে এই চুলকানির সমস্যা কমে যায়। তাছাড়া নিমপাতার রসে চুলের গোড়া শক্ত হয়, চুলের শুষ্কতা বা রুক্ষ ভাব কমে যায় এবং নতুন চুল গজাতে শুরু করে।