মুক্তি বার্তা
ঢা’বির ছাত্রী একাধিক নাম ব্যবহার করে প্রতারণা করে আসছে বিভিন্ন মহলে
নিউজ ডেস্কঃ কাগজ-কলমে নাম রাহাত আরা খানম, বন্ধুরা চিনতেন তুর্ণা আহসান নামে, প্রতারণার সময় নিজেকে পরিচয় দিতেন ফারজানা মহিউদ্দিন নামে। ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে রাহাত আরা কাজ করেন বেক্সিমকো, গ্রামীণফোন ও ডেনিম এক্সপোরটেশনে।
কাস্টমস কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বিদেশ থেকে আসা দামি উপহারের শুল্ক বাবদ হাতিয়ে নিতেন মোটা অংকের টাকা।
কখনো রাহাতআরা, কখনো তুর্না আহসান, আবার কখনো ফারজানা মহিউদ্দিন- বিভিন্ন নামে প্রতারণা করতেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী। সখ্য ছিল তিনটি ছাত্র সংগঠনের নেতাদের সাথে। ব্যবহার করতেন- উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী ও মোটিভেশনাল স্পিকারের পরিচয়। প্রতারণার অর্থ আসত তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে।
সিআইডি ডিআইজি শেখ রেজাউল হায়দার বলেন, সে নিজেকে কাস্টমসের কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে ভুক্তভোগীদের ট্যাক্সের বিষয়ে নানা ভুল তথ্য দিতেন।
প্রতারণার অর্থ আসতো ডাচ-বাংলা, এবি ও সিটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে। রাহাত আরার প্রতারণার ফাদেঁ পড়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীও।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, যে ছবিটা দেখানো হয়েছে সেটি প্রায় আট বছর আগের ছবি। সে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের জুনিয়র ছিল। এখন একজন জুনিয়র যদি এসে আমার সাথে ছবি তুলতে চায় তাহলে আমিতো না করতে পারি না। আর ছবি দিয়ে সবকিছু নির্ণয় করা ঠিক না।
মোটিভেশনাল স্পিকার ও উদ্যোক্তা পরিচয় দিয়ে মিডিয়াও মাতিয়েছেন এই নারী।
প্রতারণার শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরিফুর রহমান বলেন, আমার কাছে একটা মেসেজ আসছে আমেরিকার জেনারেল হিসেবে কর্মরত আছেন। বর্তমানে সে আফগানিস্তানে মিশনে আছেন। আমাকে ডলারের বাক্সভর্তি একটি ছবি পাঠিয়েছিল। পরেরদিন আমাকে বাংলাদেশি একটি নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে বলে আমরা কাস্টমস থেকে বলছি দেড় লক্ষ টাকা দিলেই আপনি পার্সেলটা নিয়ে যেতে পারবেন।
তুর্নার দীর্ঘদিনের উঠবস ছিল ছাত্রলীগ, ছাত্রদল ও স্বতন্ত্র জোটের নেতা-নেত্রীদের সাথেও।
মঙ্গলবার রাহাত আরা খানমসহ প্রতারক চক্রের ১২ বিদেশি সদস্যকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাহাত আরা খানমকে রিমান্ডে নেবে সিআইডি।