আজঃ মঙ্গলবার ● ১০ই বৈশাখ ১৪৩১ ● ২৩শে এপ্রিল ২০২৪ ● ১৩ই শাওয়াল ১৪৪৫ ● দুপুর ২:৪৮
শিরোনাম

By মুক্তি বার্তা

চৌগাছায় তিন দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়েছে

ফাইল ছবি

চৌগাছা (য‌শোর) : চৌগাছায় তিন দিনের মধ্যে কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়ে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়।
বাজারে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ থাকা সত্ত্বেও এই নিত্যপণ্যটির দাম হু হু করে বাড়ছে। বুধবার বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
করোনার কারণে অনেকেরই আয় কমেছে। এই সময়ে পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিকে বাড়তি চাপ হিসেবে দেখছেন সাধারণ মানুষ।
আসাদুজ্জামান নামে শহরের এক বাসিন্দা বলেন, ‘পেঁয়াজের বাজার দেখার বোধ হয় কেউ নেই। দুইদিন আগেও ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনেছি। এখন সেই পেঁয়াজ ১০০ টাকা কেজি দরে কিনতে হচ্ছে।’
শহরের পারবাজারের সবজি বিক্রেতা আব্দুল করিম ও রাজ বলেন, মোকামে এখন পেঁয়াজের দাম বেশি। সেখান থেকে ৮৭ টাকা দরে এনে ১০০ টাকা দরে খুচরা বিক্রি করা হচ্ছে।
পেঁয়াজের এই মূল্যবৃদ্ধির পেছনে ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি ও রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়াকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা।
খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতারা জানিয়েছেন, দুইদিন আগে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা। এখন সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। ৭২ ঘণ্টার ব্যবধানে কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। আর একই সময়ে প্রতিকেজি আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা।
পারবাজারের ব্যবসায়ী তারেক রহমান বলেন, ভারত হঠাৎ পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম বাড়তি।
এদিকে বাজারে পেঁয়াজ ছাড়াও সব ধরনের সবজি, সবজি, তেল, আলু, মুরগি, আদা ও দারুচিনির দামও কিছুটা বাড়তি। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ২২ টাকার আলু এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা কেজি দরে। কেজিতে সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৫-৭ টাকা।
এদিকে, শীতের আগাম সবজি বাজারে আসতে শুরু করলেও দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। বুধবার শিমের কেজি বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, লাউ প্রতি পিস গড়ে ৪০ টাকা। কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা, পাকা টমেটো প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।

 

ফেসবুকে লাইক দিন