আজঃ শনিবার ● ৭ই বৈশাখ ১৪৩১ ● ২০শে এপ্রিল ২০২৪ ● ১০ই শাওয়াল ১৪৪৫ ● দুপুর ১২:২৯
শিরোনাম

By মুক্তি বার্তা

নয় বছরে ৯টি বিয়ে করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার নিখুঁত কারিগর সুলায়মান

ফাইল ছবি

নিউজ ডেস্কঃ পেশা গার্মেন্টস শ্রমিক। নাম সুলায়মান। বয়স ২৯। বাড়ি বরগুনা। ১৭ বছর বয়সে জীবিকার দাগিতে বরগুনা থেকে আসেন চট্টগ্রামে। কাজ নেন সেখানকার একটি গার্মেন্টসে। ৮ হাজার টাকা বেতন। পেশায় শ্রমিক হলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আর মোবাইল ফোনে অল্প বয়সী মেয়েদের সঙ্গে কথা বলে তাদেরকে পটিয়ে প্রতারণার জালে ফেলে বিয়ে করার এক অভিনব শিল্প রপ্ত করেন শ্রমিক সুলায়মান। টার্গেট করেন গার্মেন্টসের নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির মেয়েদেরকে।

বিভিন্ন সময়ে প্রশাসনের অফিসার হিসেবে বিভিন্ন মেয়েদের কাছে নিজেকে উপস্থাপন করেন। কখনো পুলিশ অফিসার, কখনো আর্মি অফিসার, কখনো আবার নেভি অফিসার হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন। বিভিন্ন অফিসারদের ছবিতে নিজের মুখের অবয়ব মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে কাট পেস্ট করে প্রেমিকাদের কাছে পাঠাতেন। আর এতেই কুপোকাত প্রেমিকা এবং তাদের পরিবার। শুধু তাই নয় বিয়ে করার পরে স্ত্রীর ভাই-বোনদেরকে চাকরি দেয়ার নাম করে হাতিয়ে নিয়েছেন বিপুল অর্থ। স্ত্রীদের মাধ্যমে এনজিও থেকে লোন নিয়ে ওই অর্থ নিয়ে পালিয়ে গেছেন অন্যত্র। বেছে নিয়েছেন আরেকজনকে। অষ্টম স্ত্রী রাহেলার কাছ থেকে তার ভাই ও বোনকে চাকরি দেয়ার নাম করে হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় আড়াই লাখ টাকা এবং তার নামে এনজিও থেকে ঋণ তুলে হাতিয়ে নিয়েছেন এক লাখ টাকা।

নবম স্ত্রীর রহিমার কাছ থেকে যৌতুক নিয়েছেন দুই লাখ টাকা। এভাবে একটি নয় দুটি নয় ২০ বছর থেকে ২৯ বছরের মধ্যে মাত্র নয় বছরে ৯টি বিয়ে করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার নিখুঁত কারিগর সুলায়মান অবশেষে ধরা পড়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (বন্দর) বিভাগ ও পাহাড়তলী থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে।

নগর গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আবু বকর সিদ্দিক তাকে আটকের বিষয়টি আরটিভি নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

বিয়ে পাগলা সুলায়মান এর বিরুদ্ধে উঠতি বয়সের মেয়েদেরকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বিয়ে করা ও অর্থ হাতিয়ে নেয়ার সংক্রান্ত একটি অভিযোগ মহানগর গোয়েন্দা (বন্দর) বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার এস এম মোস্তাইন হোসেন বিপিএম এর হাতে আসলে বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়। ইতোমধ্যে নবম স্ত্রীর মা বাদী হয়ে পাহাড়তলী থানায় একটি মামলা রুজু করেন।

গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আবু বকর সিদ্দিক ও সহকারী পুলিশ কমিশনার গোলাম ছরোয়ার এর নেতৃত্বে মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের একটি টিম ও পাহাড়তলী থানা পুলিশের পাহাড়তলী থানা এলাকার একটি বাসা থেকে বিয়ে পাগলা সুলায়মানকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং উদ্ধার করা হয় ১৫ বছর বয়সী নবম স্ত্রীকে।

সুলেমানকে গ্রেপ্তারের পর অন্যান্য স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা সবাই সুলায়মানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।

মুবার্তা/এস/ই

ফেসবুকে লাইক দিন