আজঃ সোমবার ● ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১ ● ২৯শে এপ্রিল ২০২৪ ● ১৯শে শাওয়াল ১৪৪৫ ● বিকাল ৫:১৭
শিরোনাম

By মুক্তি বার্তা

চৌগাছায় ১টি প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ এবং ১০টির লাইসেন্স নবায়ন নেই।

প্রতিকি ছবি

চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের চৌগাছা শহরে রয়েছে ১১টি প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

এর মধ্যে মালিকানা জটিলতায় বন্ধ রয়েছে একটি। অন্য ১০টির কোনটিরই লাইসেন্স নবায়ন নেই। এছাড়া তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ফাতেমা ডায়াগনস্টিক, বিশ্বাস ডায়াগনস্টিক ও ডক্টরস প্যাথলজির নেই কোন লাইসেন্সই।

এসব বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানগুলিকে উপজেলা স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে ৫ দিনের মধ্যে লাইসেন্স নবায়ন করতে আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। ২৮ জুলাই মঙ্গলবার এই আল্টিমেটামের শেষ দিন।

গত বৃহস্পতিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার প্রতিনিধি হিসেবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার তৌহিদুজ্জামান এবং স্যানিটারী ইন্সপেক্টর নিয়ামত আলী সরেজমিনে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো পরিদর্শন করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। তিনি সেটি রিপোর্ট আকারে যশোরের সিভিল সার্জনকে জানিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন্নাহার লাকি।

উপজেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা শহরের মোট ১১টি প্রাইভেট ক্লিনিকের মধ্যে ডিভাইন গ্রুপের মালিকানাধীন ডা. আনিছুজ্জামান হাসপাতাল এবং সোহরাব হোসেন উজ্জলের মালিকানাধীন মধুমতি প্রাইভেট হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ৩০ জুন। এরমধ্যে ডা. আনিছুজ্জামান হাসপাতাল ৫ জুলাই নতুন বছরের লাইসেন্স নবায়নের জন্য আবেদন করেছেন। আর ইসলামী হাসপাতাল মালিকানা জটিলতায় বন্ধ রয়েছে। এছাড়া আওয়াল হোসেন জুয়েলের মালিকানাধীন কপোতাক্ষ ক্লিনিকের লাইসেন্স নবায়ন শেষ হয়েছে ’১৪ সালের ৩০ জুন।১৬ সালের ৩০ জুন নবায়নের মেয়াদ শেষ হয়েছে চৌগাছা হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট মফিজুর রহমানের মালিকানাধীন মায়ের দোয়া প্রাইভেট হাসপাতাল ও গ্রাম ডাক্তার মিজানুর রহমানের মালিকানাধীন পল্লবী ক্লিনিকের।১৭ সালের ৩০ জুন নবায়নের মেয়াদ শেষ হয়েছে যৌথ মালিকানাধীন নোভা এইড প্রাইভেট হাসপাতালের। নবায়ন নেই ডিভাইন গ্রুপের মালিকানাধীন ডা. আনিছুজ্জামান-নাহার কল্যাণ সংস্থারও।

তাদের নবায়ন শেষ হয়েছে ’১৮ সালের জুন মাসে। তবে এ ছয়টি ক্লিনিকেরই লাইসেন্স বিগত বছরগুলির নবায়নের জন্য অনলাইনে আবেদন করা আছে বলেও সূত্রটি জানিয়েছে।

এদিকে খুলনার সাবেক সিভিল সার্জন ডা. এএসএম আব্দুর রাজ্জাকের মালিকানাধীন ফাতেমা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মহেশপুর হাসপাতালের ল্যাব টেকনিশিয়ান শামছুর রহমানের মালিকানাধীন ডক্টরস প্যাথলজি এবং চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাবেক আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আওরঙ্গজেবের (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে কর্মরত) বিশ্বাস ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কোন লাইসেন্স’ই নেই। তিনটি প্রতিষ্ঠানই দীর্ঘদিন ধরে চৌগাছায় ব্যবসা করে আসছে। এরমধ্যে ডক্টরস প্যাথলজি ও বিশ্বাস ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রক্তের সকল পরীক্ষা এবং ফাতেমা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে শুধুমাত্র আলট্রাসোনোগ্রাফি করা হয়ে থাকে।

তবে এদের মধ্যে ফাতেমা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স করার জন্য অনলাইনে আবেদন করা আছে।

এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন্নাহার লাকি বলেন, উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শহরের প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে সরেজমিনে গিয়ে তথ্য নেয়া হয়েছে। এদের কোনটির’ই লাইসেন্স নবায়ন নেই। তবে ডা. আনিছুজ্জামান হাসপাতাল নতুন বছরের জন্য গত ৫ জুলাই অনলাইনে আবেদন করেছেন। এছাড়া তিনটি ডায়গনস্টিক সেন্টারের কোনটির’ই লাইসেন্স নেই। তাদের সবাইকেই ৫ দিনের মধ্যে কাগজপত্র ঠিক করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যা আগামী ২৮ জুলাই মঙ্গলবার শেষ হবে। এই সময়সীমার পর যে কোন সময় অভিযান চালিয়ে কাগজপত্র পাওয়া না গেলে সেগুলো সিলগালা করে দেয়াসহ যে কোন কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও প্রতিষ্ঠানগুলির মালিকদের জানানো হয়েছে তিনি জানিয়েছেন।

ফেসবুকে লাইক দিন