By মুক্তি বার্তা
স্কুল খোলার পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্রিটেনে দৈনিক করোনা আক্রান্ত ৫০ হাজার
নিউজ ডেস্কঃ দীর্ঘ চার-পাঁচ মাস ঘরবন্দি থাকার পরে তাই গরমের ছুটিতে বেরিয়ে পড়েছিলেন অনেকেই। আর এতেই হুড়মুড় করে বেড়েছে সংক্রমণ দাবি বিশেষজ্ঞদের।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কিছুটা কমতেই ব্যবসা-বাণিজ্য পুরোদমে চালু করে দিয়েছিল ইউরোপ। খুলে দেয়া হয়েছিল স্কুল। এমনকি পর্যটনকে চাঙ্গা করতে ইউরোপের মধ্যে সফরে নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি তুলে দেয়া হয়। বিভিন্ন ধরনের ছাড় দেয়া শুরু করেছিল হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলো।
এ বিষয়ে সাহায্য করেছে সরকারও। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারও চালানো হয়েছে। যেমন- নির্দিষ্ট কোনও হোটেলে উঠলে মাথাপিছু ৫০ ইউরো ছাড়।
এদিকে স্কুল খোলার পর শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ বেড়ে যায়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্রিটেনে দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে ৫০ হাজার ছুঁয়েছে। মৃত্যুও বাড়ছে। ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল (ইসিডিসি) এ তথ্য জানিয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার পর সপ্তাহান্তে বিচ পার্টি শুরু করে দিয়েছিল ব্রিটেনবাসী। পাবগুলোতে উপচে পড়ছিল মানুষজনের ভিড়ে। এমন পরিস্থিতিতে কঠোর হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটিশ প্রশাসন।
বরিস জনসনের সরকার জানিয়েছে, কোনও ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হলে ওই ব্যক্তি ও তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের নজরে রাখা হবে। তাদের পুরোপুরি আইসোলেশনে থাকতে হবে। নিয়ম না মানলে এক হাজার থেকে ১০ হাজার পাউন্ড জরিমানা দিতে হবে।
ফ্রান্সেও খুলে দেয়া হয়েছিল সব পর্যটনস্থল। ফলে প্যারিসের রাস্তায় বেরিয়ে আসে অসংখ্য মানুষ। আর এভাবেই দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে ১৩ হাজার ছাড়িয়েছে। আগেও একদিনে এত সংক্রমণ ঘটেনি।
এদিকে নেদারল্যান্ডস প্রশাসন বলছে, এভাবে চললে তাদেরও দিনে সংক্রমণ ১০ হাজার ছাড়াবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও’র ইউরোপ শাখার প্রধান হান্স ক্লুগ বলেছেন, মার্চেও এই চিত্র দেখা যায়নি ইউরোপে। সংক্রমণ রুখতে যেসব নিয়ম জারি করা হয়েছিল, সংক্রমণ একটু কমতেই তা তুলে নিয়েছিল ইউরোপ, এজন্যই এমনটা হয়েছে।
মুবার্তা/এস/ই