By মুক্তি বার্তা
১৯৩৭ সালে প্রতিষ্ঠিত মৃতপ্রায় ছাতক সিমেন্ট কারখানাকে অত্যাধুনিকভাবে সাজানোর সিদ্ধান্ত
নিউজ ডেস্কঃ সাবেক হুইপ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহিদ এমপি বলেছেন, বর্তমান শিল্পবান্ধব সরকার দেশে নতুন নতুন শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগকারী সংস্থাদের শিল্প-কারখানা গড়ার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করছে। ১৯৩৭ সালে প্রতিষ্ঠিত মৃতপ্রায় ছাতক সিমেন্ট কারখানাকে অত্যাধুনিকভাবে সাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সাশ্রয়ী ও লাভজনক শিল্প প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারি অর্থায়নে এখানে ড্রাই প্রসেস সিমেন্ট কারখানা প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। নির্মাণাধীন ওই সিমেন্ট কারখানাটি দৈনিক ১ হাজার ৫শ মেট্রিক টন ক্লিংকার ও ৫০০ মেট্রিক টন সিমেন্ট উৎপাদনে সক্ষম হবে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে নতুন প্রকল্পে উৎপাদন শুরু হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সুনামগঞ্জের ছাতক সিমেন্ট কারখানায় নির্মাণাধীন নতুন ড্রাই প্রসেস সিমেন্ট প্রকল্প পরিদর্শন শেষে কারখানার গেস্ট হাউসে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ব্রিফিংকালে স্থানীয় সাংসদ মুহিবুর রহমান মানিক বলেন, ‘বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান ছাতকস্থ সিলেট পাল্প এন্ড পেপার মিল পানির দামে প্রাইভেট খাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে ঐতিহ্যবাহী ও দেশের প্রাচীনতম ছাতক সিমেন্ট কারখানাটিও বিক্রির চেষ্টা চলছিল। এখানের সচেতন মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে এ কারখানাটি বিক্রির হাত থেকে রক্ষা করা হয়। বর্তমান শিল্পবান্ধব সরকার ভর্তুকী দিয়ে একাধিকবার বিএমআরই এর মাধ্যমে এ কারখানাটিকে সচল রেখেছে। সারা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এ শিল্প প্রতিষ্ঠানকে আধুনিকায়ন ও লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে কারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনার পর বিষয়টি সংসদে উত্থাপন করা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের নজরে এলে ওয়েট প্রসেস থেকে কারখানাটিকে ড্রাই প্রসেস প্রকল্পে রূপান্তর করতে ২০১৬ সালে ৮ মার্চ একনেকে অনুমদিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন ড্রাই প্রসেস প্রকল্প বাস্তবায়নে ৮৯২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। চীনের একটি বিখ্যাত কারিগরি প্রতিষ্ঠান ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে নতুন প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে। নতুন এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নতুন নতুন কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হবে। কর্মক্ষেত্রের পাশাপাশি এখানকার মানুষ ব্যবসায়িকভাবেও লাভবান হবেন।’
পরিদর্শন টিমের সঙ্গে ছিলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, বিসিআইসি’র যুগ্ম-সচিব মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, বিসিআইসি’র যুগ্ম-সচিব আমিন উল আহসান, এফসিএমএ লুৎফুর রহমান, প্রকল্প পরিচালক ও কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এফ এম আব্দুল বারী, প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রহমান ও সিনিয়র কমিটি অফিসার ফারহানা বেগম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুহেল মাহমুদ, ছাতক উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম কবির, কারখানার জিএম (প্রশাসন) গোলাম রব্বানী, সহ-ব্যবস্থাপক নির্ঝর দাস, সহকারী প্রকৌশলী রইছ উদ্দিন, কেমিস্ট পংকজ কান্তি দত্ত, ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান, কারখানার সহকারী প্রধান হিসাবরক্ষক আতিকুল হক, আওয়ামী লীগ নেতা মোশাহিদ আলী, সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি এম রশীদ আহমদ, কারখানার সিবিএ সভাপতি খছরুল হক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কদ্দুছ, সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি বাবুল রায়, ছাতক উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহবুব আলমসহ অনুমিত হিসাব সংক্রান্ত কমিটির সদস্যবৃন্দ।
মুবার্তা/এস/ই