By মুক্তি বার্তা
ভূমি অফিসের নায়েব জাকির হোসেন তার বদলি আদেশ ঠেকাতে মরিয়া
নিউজ ডেস্কঃ কপিলমুনি ভূমি অফিসের নায়েব জাকির হোসেন তার বদলি আদেশ ঠেকাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তিনি ইতোমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় দৌঁড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। তার কিছু অনুচরদের দিয়ে প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা সহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তা ব্যক্তিদের স্মরনাপন্ন হচ্ছেন বলে একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে।
কপিলমুনি ভূমি অফিসের নায়ে জাকিরের হঠাৎ বদলির খবরে তার আশির্বাদপূষ্ট কিছু চিহ্নিত দালালদের গাত্রদাহ শুরূ হয়েছে। তারা নায়েব জকিরকে কপিলমুনি ভূমি অফিসে রাখতে নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নায়েব জাকিরের বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারী সহ ঘুষ দূর্নীতির খামখেয়ালীপনার নানা অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি স্থানীয় প্রকাশিত পত্রিকায় এ সব অভিযোগ প্রমানিত হলে গত ১৭ সেপ্টেম্বর খুলনা জেলা প্রশাসক তাকে বদলীর আদেশ দেন।
এ অদেশে তার খাজনা নেয়ার ক্ষমতা খর্ব করে শুধু মাত্র পেন্ডিং কাজগুলো একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিষ্পন্ন করার নির্দেশ দিয়ে সাময়িক ভাবে তাকে ভূমি অফিসে রাখা হয়। পেন্ডিং কাজ শেষ হলেই তাকে কপিলমুনি ভুমি অফিস ছাড়তে হবে বলে জানা যায়। এর আগে নায়েব জাকির কপিলমুনিতে ব্যাপক ঘুষ বানিজ্য চালিয়েছেন। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারীর মাঝামাঝি সময়ে কপিলমুনি ভূমি অফিসে যোগদান করেই তিনি এই ভূমি অফিসকে ঘুষ বানিজ্যের আখড়ায় পরিনত করেন।
কপিলমুনি নাছিরপুর মৌজায় কপিলমুনি শহরে ৪২৯ দাগের পেরিফেরী বন্দোবস্তকৃত কেস কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে নায়েব জাকিরকে মোটা অংকের টাকায় খুশি করে এ নায়েবের সহযোগীতায় পবিত্র কুমার সাধুর ছেলে সুদিপ কুমার সাধু উপজেলা কেস নং ১৩৫/১৫-১৬, পঙ্কজ সাধুর স্ত্রী অঙ্গনা রানী সাধু উপজেলা কেস নং ১৩৬/১৫-১৬, এরা প্রায় ১২ শতক মূল্যবান জায়গায় আর সি সি ছাদ দিয়ে দোকান ঘর নির্মান করে সেগুলো ভাড়া দিয়েছেন। নায়েবের কারসাজিতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে মাত্র ৩ টি ডি সি আর কেটে দোকানগুলো নির্মান করা হয়। আর এতে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এ ছাড়া এই মৌজায় কপিলমুনি শহরে ৪২৯ দাগে কোটি টাকার মূল্যের প্রায় ০.৮০ একর পেরিফেরীভুক্ত ৫ থেকে ১০ শতক জায়গা নিয়ে একাধিক ব্যক্তি ব্যাবসা বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। তারাও নায়েব জাকিরকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে মাত্র ২/৩ টি ডিসিআর কেটে সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা যায়। সূত্রটির দাবী, কপিলমুনি বাজারের নাছিরপুর মৌজায় ৪২৯ দাগে তদন্ত করলে এর সত্যতা মিলবে। এ ছাড়া কপিলমুনির অসংখ্য সরকারী মূল্যবান জায়গায় এ ভাবে বিলিয়ে দিয়ে প্রায় ৪ বছর ধরে তিনি কোটি টাকারও বেশী হাতিয়ে নেন।
মুবার্তা/এস/ই