আজঃ বুধবার ● ১১ই বৈশাখ ১৪৩১ ● ২৪শে এপ্রিল ২০২৪ ● ১৩ই শাওয়াল ১৪৪৫ ● রাত ৪:০৬
শিরোনাম

By মুক্তি বার্তা

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আউয়াল  দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের আরও দু’মামলা দায়ের

ফাইল ছবি

রাহাদ সুমন, বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ পিরোজপুর-১ আসনেরআওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম এ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুদক। বুধবার দুপুরে দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আলী আকবর মামলা দুটি দুদকের সমন্বিত কার্যালয়ে দায়ের করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম এ আউয়ালের নামে অবৈধ উপায়ে অর্জিত জ্ঞাত আয় বহিঃর্ভূত ৩৩ কোটি ২৭ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫৫ টাকা মূল্যে সম্পদের মালিকানা অর্জিত হয়।

এছাড়া তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে মোট ১৫ কোটি ৭২ লাখ ৪ হাজার আটশত ৪৩ টাকার সম্পদ গোপন করার প্রমাণ পাওয়া যায়। এর প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬ (২), ২৭ (১) ও মানি লন্ডারিং ২০১২ এর ৪ (২) -এ দুদকের সমন্বিত কার্যালয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অপর দিকে তার স্ত্রী লায়লা পারভীন ১০ কোটি ৯৮ লাখ ৯০ হাজার ৫০ টাকা জ্ঞাত আয় বহিঃর্ভূত সম্পদ অর্জন করায় দুর্নীতি দমন আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪ (২), ৪ (৩) -এ অপর একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আলী আকবর বলেন, সাবেক এম পি আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের সম্পদ অনুসন্ধান করে এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে মামলা দুটি দায়ের করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম এ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।

এর আগে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আলী আকবর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় বরিশালে ৩টি মামলা দায়ের করেন। তিনটি মধ্যে দুইটি সাবেক এমপি আউয়াল এবং একটিতে তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকেও আসামি করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, জেলার নাজিরপুর থানার সামনে ও উপজেলা সদরের ভূমি অফিসের পেছনের ১৩ শতাংশ সরকারি খাস জমি নিজের দখলে নেন। পরে সেখানে তিনি দ্বিতল পাকা ভবন নির্মাণ করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে অফিস হিসেবে ভাড়া দেন। এতে চুক্তি করেন এমপির স্ত্রী লায়লা পারভীন।

তিন মামলায় গত ০৭ জানুয়ারি তারা হাজির হয়ে জামিন আবেদনের পর ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন দেন হাইকোর্ট। পরে ৩ মার্চ তারা পিরোজপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ওইদিন শুনানি শেষে জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান জামিন না মঞ্জুর কারে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

পরবর্তীতে তাদের ডিভিশন দিতে আবেদন করেন আইনজীবীরা। আদালত সেটি মঞ্জুর করেন। এর মধ্যে জেলা জজকে বদলি করা হয়। বিকালে ফের জামিন আবেদনের পর বিচারক নাহিদ নাসরিন তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর গত ২১ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের জামিনের মেয়াদ আরও এক মাস বাড়ে।

২১ সেপ্টম্বর সোমবার পিরোজপুরের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন আউয়াল দম্পতি। পরে বিচারক মো. মহিদুজ্জামান তাদের আবেদন মঞ্জুর করেন। এ নিয়ে সাবেক এমপি আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত পৃথক পাঁচটি মামলা করে দুদক।
এ কে এম এ আউয়াল ২০০৮ ও ২০১৪ সালে পর পর দুইবার পিরোজপুর-১ (পিরোজপুর সদর-নাজিরপুর-স্বরূপকাঠি)

আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।

মুবার্তা/এস/ই

ফেসবুকে লাইক দিন