আজঃ সোমবার ● ১১ই চৈত্র ১৪৩০ ● ২৫শে মার্চ ২০২৪ ● ১৪ই রমযান ১৪৪৫ ● দুপুর ২:২৮
শিরোনাম

By মুক্তি বার্তা

সৎ বাবার হাত থেকে রক্ষা পায়নি ১৩ বছরের মেয়েটি

ফাইল ছবি

নিউজ ডেস্কঃ ৮ অক্টোবর সৎ বাবা হবিবুর রহমানের (৫৫) বিরুদ্ধে মেয়ের মা হাউশি বেগম (৪০) বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দিগড় ইউনিয়নের হামিদপুর বায়ানপাড়া গ্রামে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত হবিবুর পলাতক। বাবা নামের নরপশুটি মাঝে মাঝেই কুপ্রস্তাব দিত ছোট্ট মেয়েটিকে (১৩)। বিষয়টি তিনদিন সে তার মাকে জানিয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।

ধর্ষণের শিকার মেয়েটির মা হাউশি বেগম জানায়, তার মেয়েটি স্থানীয় একটি মাদরাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। মাঝে মাঝেই তার সৎ বাবা তাকে কুপ্রস্তাব দিত। ওই প্রস্তাবের বিষয়ে মাকে জানালে বিষয়টি দেখবে বলে জানায়। কিন্তু মা হয়ে তিনি মেয়ের ইজ্জত রক্ষা করতে পারেননি।

হাউশি বেগম আরও জানান, মেয়ের ওই বিষয়টি নিয়ে যখনি স্বামীর সাথে কথা বলতে চেষ্টা করেছি, তখনি আমার ওপর চলতো অমানবিক নির্যাতন। আর সে বলতো তোর মেয়ের অন্য ছেলেদের সঙ্গে সম্পর্ক আছে। মানুষের বাড়িতে কাজ করে মেয়ের লেখাপড়ার খরচ যোগান তিনি। ওই লোকটা কোনো টাকা পয়সা দেয় না। হবিবুর পেশায় একজন শ্রমিক। স্থানীয় হামিদপুর বাজারে কাজ করে। এর আগেও হবিবুর তিনটি বিয়ে করেছে।

পাশের বাড়িতে ভাড়া থাকা রূপা বেগম (৩৫) বলেন, ছোট বাচ্চারাও ওই লোকটার কথা শুনে এখন ভয় পাচ্ছে। ওকে ফাঁসি দেয়া দরকার।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘাটাইল উপজেলার দক্ষিণ হামিদপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর মেয়ে হাউশি বেগম। প্রায় বিশ বছর আগে পার্শ্ববর্তী কালিহাতী উপজেলার পঁচজোয়াইর গ্রামের মৃত জালু মিয়ার ছেলে সেলিম এর সাথে তার বিয়ে হয়। ওই ঘরে তার এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। প্রায় ১২ বছর সংসার করার পর অশান্তি দেখা দিলে উভয়ের মধ্যে তালাক হয়। সন্তান তার সাথেই থাকে। এর তিন বছর পর কালিহাতী উপজেলার সালেংকা গ্রামের মৃত কাজিম উদ্দিনের ছেলে হবিবুর রহমান ওরফে হবির সাথে পুনরায় তার বিয়ে হয়। এ ঘরে তাদের এখনও কোনো সন্তান জন্ম নেয়নি। বিয়ের পর ঘর জামাই হিসেবেই থাকেন হবিবুর। বাড়িতে বন্যার পানি ওঠায় মেয়েকে নিয়ে স্বামীর সাথে হামিদপুর বায়ানপাড়া গ্রামে ফারুক হোসেনের আধাপাকা টিনের ঘর ভাড়া করে থাকেন। ৬ অক্টোবর রাতের খাবার শেষে তারা ঘুমাতে যান। মেয়ে খাটে ঘুমাতে যায় এবং তারা দুজনে ঘরের মেঝেতে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে মেয়ের কান্নার শব্দে ঘুম ভাঙলে বিষয়টি সে জানায়। এর আগেই তার স্বামী পালিয়ে যায়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, এলাকাবাসির মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে ওই মেয়ের সাথে কথা বলি এবং ঘটনার সত্যতা পাই। মেয়েটি আমাকে জানায় প্রায় ১৫ থেকে ১৬ দিন তার সাথে এ কাজ করেছে। পরে ওইদিন রাতেই আমি ৯৯৯ নম্বরে কল দেই এবং বিষয়টি নিয়ে ওখান থেকে থানায় যোগাযোগ করতে বলি। রাতেই ওর মাকে সাথে নিয়ে থানায় যাই এবং মামলার কাজে সাহায্য করি।

এ বিষয়ে ঘাটাইল থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মো. ছাইফুল ইসলাম বলেন, মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারে জোর চেষ্টা চলছে।

মুবার্তা/এস/ই

ফেসবুকে লাইক দিন