By মুক্তি বার্তা
বানারীপাড়ায় সন্ধ্যা নদীর চরে পৈত্রিক ভিটে রক্ষার দাবীতে দক্ষিণ নাজিরপুরবাসীর আন্দোলনের ডাক
রাহাদ সুমন,বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনি
এ দাবীতে ১২ অক্টোবর সোমবার সন্ধ্যায় বানারীপাড়া প্রেসক্লাব ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে অনুষ্ঠিত সভায় ১২ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ভূমি অফিসের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সহকারী কমান্ডার মীর সাইদুর রহমান শাহজাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বানারীপাড়া প্রেসক্লাব সভাপতি রাহাদ সুমনকে আহবায়ক ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর মশিউর রহমান কামাল, অধ্যাপক এমএ কাইয়ুম,পৌর কাউন্সিলর ইউনুস মিয়া ও সাবেক তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর ব্যক্তিগত সহকারী সাজ্জাদ হোসেনকে যুগ্ম আহবায়ক এবং সাবেক পৌর কাউন্সিলর রফিকুল আলমকে সদস্য সচিব করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট দক্ষিণ নাজিরপুর গ্রাম রক্ষা ও উন্নয়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন উপজেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক ও আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াহীদুজ্জামান দুলাল,সাবেক তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর ব্যক্তিগত সহকারী সাজ্জাদ হোসেন,বানারীপাড়া প্রেসক্লাব সভাপতি রাহাদ সুমন,সাবেক কাউন্সিলর রফিকুল আলম ও মশিউর রহমান কামাল,কামরুজ্জামান অপু প্রমুখ। প্রসঙ্গত রাক্ষসি সন্ধ্যা নদী দক্ষিণ নাজিরপুর গ্রামের সিংহভাগ গ্রাস করে ফেলেছিলো। ওই গ্রামের সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, ঈদগাঁহ, রাস্তাঘা
সপরিবারে রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরেও চলে যান অনেকে। যাযাবর জীবনও বেছে নিয়েছেন কেউ কেউ। নদীর তীরে ছাপড়া ঘরে থেকে কোন একদিন চর জেগে উঠবে সেখানে আবার ঘরবসতি গড়ে তুলবেন এ আশায় বুক বেধে আছেন অনেকে। ভাঙনের ধারাবাহিকতায় ২৫/৩০ বছর পূর্বে সম্পূর্ন ভেঙ্গে যাওয়া এ গ্রামটি গত এক যুগ ধরে একটু একটু করে জেগে উঠতে শুরু করে। দু’টি স্কুল ও মসজিদ নতুন করে এর অদূরে অন্যের দানকৃত জমিতে গড়ে তোলা হয়। পৈত্রিক ভিটা আবার ফিরে পাওয়ার স্বপ্ন দেখতে থাকে ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো। দু’একজন বালি ভরাট করে ঘর নির্মাণের প্রস্তুতিও নেয়। কিন্তু হঠাৎ করে উপজেলা ভূমি অফিস ওই সম্পত্তির খাজনা নেওয়া ও বালি ভরাট বন্ধ করে দেওয়ায় তাদের স্বপ্নে ছেদ পড়ে। সন্ধ্যা নদীর তীরে জেগে ওঠা বিশাল এ চর খাস সম্পত্তি হয়ে যেতে পারে এ শঙ্কায় পড়েন তারা। অভিযোগ রয়েছে ওই সম্পত্তি খাস করে একটি ভূমিগ্রাসী চক্র ডিসিআর নিয়ে ভোগ দখলের পায়তারা করছেন।
মুবার্তা/এস/ই