By মুক্তি বার্তা
হজ্জ্বের মূল কার্যক্রম শুরু হলেও ইতিমধ্যে ২৪৪ জনকে আটক করেছে সৌদি পুলিশ
প্রতি বছর বিশ্বের লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলিম হজ করতে সৌদি আরব যান। গত বছরও সেখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হজ করতে সমবেত হয়েছিলেন প্রায় ২৫ লাখ মুসল্লি। তবে এ বছর করোনাভাইরাসের হানায় দেশ-বিদেশ মিলিয়ে মাত্র ১০ হাজার মানুষ পবিত্র আল্লাহর ঘর তায়েফের সুযোগ পাচ্ছেন।
করোনা মহামারির কারণে এ বছর প্রথম থেকেই হজ আয়োজন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। পরে গত ৬ জুলাই স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার কঠোর শর্তে সীমিত পরিসরে হজ আয়োজনের ঘোষণা দেয় সৌদি আরব।
দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানায়, হজ উপলক্ষে ব্যাপক জনসমাগমে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত এবং সংক্রমণমুক্ত থাকার জন্য হজে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব।
অর্থাৎ বহু জল্পনা-কল্পনা শেষে শুরু হয়েছে পবিত্র হজের মূল কার্যক্রম। ইতোমধ্যেই পূর্বনির্ধারিত এক হাজার হাজি মিনায় পৌঁছেছেন। তবে, বিনা অনুমতিতে হজ স্থাপনায় প্রবেশচেষ্টার অভিযোগে অন্তত ২৪৪ জনকে গ্রেফতার করেছে সৌদির নিরাপত্তাবাহিনী। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা এসপিএ এই তথ্য জানিয়েছে।
সৌদি নিরাপত্তা বাহিনীর এক মুখপাত্র বলেন, বিধিনিষেধ কার্যকর এবং নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের ধরতে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা পবিত্র স্থানগুলোর আশপাশে কঠোর সুরক্ষা বলয় তৈরি করেছে। এসময় নিয়ম ভেঙে পবিত্র হজ স্থাপনায় প্রবেশের চেষ্টা থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহ্বান জানান এ কর্মকর্তা।
এ বছর বহিরাগতরা কেউ হজ করার সুযোগ পাচ্ছেন না। যারা ইতোমধ্যেই সৌদি আরব রয়েছেন শুধু তাদের মধ্যেই কিছু সংখ্যক লোক হজে অংশ নিতে পারবেন। হজে অংশগ্রহণকারী ও আয়োজকদের মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
সৌদির রোগ প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুসারে, এ বছর হজের সময় কাবা শরীফ স্পর্শ বা চুম্বন নিষিদ্ধ থাকবে। হাজিদের ন্যূনতম ১.৫ মিটারের (পাঁচ ফুট) শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। তাওয়াফ, নামাজ, সাঈ প্রতিটি ক্ষেত্রেই এই নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। এছাড়া মিনা, আরাফাহ ও মুজদালিফায় ২ আগস্ট পর্যন্ত হাজিদের জন্য অবস্থান নির্ধারিত থাকবে।
দীর্ঘ ৯০ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম সৌদি আরবের বাইরের হজযাত্রী ছাড়া এত ছোট পরিসরে হজ আয়োজিত হচ্ছে। তবে আগে বিভিন্ন সময় যুদ্ধ-বিগ্রহ, বন্যাসহ অন্যান্য কারণে প্রায় ৪০বার হজ বন্ধ ছিল।