আজঃ শুক্রবার ● ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ ● ১৭ই মে ২০২৪ ● ৮ই জিলক্বদ ১৪৪৫ ● দুপুর ২:৩৮
শিরোনাম

By মুক্তি বার্তা

বানারীপাড়ায় সন্ধ্যা নদীর তীরে জেগে ওঠা সম্পত্তির খাজনা নেওয়ার দাবীতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ফাইল ছবি

রাহাদ সুমন,বিশেষ প্রতিনিধি॥ বরিশালের বানারীপাড়ায় পৌর শহরের ২ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ নাজিরপুর গ্রামে সন্ধ্যা নদীর তীরে জেগে ওঠা পৈত্রিক সম্পত্তির খাজনা নিয়ে দাখিলা দেওয়ার দাবীতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যায় প্রেসক্লাব চত্বরে দক্ষিণ নাজিরপুর গ্রাম রক্ষা ও উন্নয়ন কমিটির আহবায়ক এবং প্রেসক্লাব সভাপতি রাহাদ সুমনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তৃতা করেন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও বানারীপাড়া পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল,উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র গোলাম সালেহ মঞ্জু মোল্লা, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি এটিএম মোস্তফা সরদার,সাংগঠনিক সম্পাদক ও সলিয়াবাকপুৃর ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউল হক মিন্টু,পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সুব্রত লাল কুন্ডু,উপজেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক ওয়াহীদুজ্জামান দুলাল,প্রেসক্লাবের  সহ-সভাপতি কে এম শফিকুল আলম জুয়েল প্রমুখ।

এছাড়াও বক্তৃতা করেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সহকারী কমান্ডার ও   দক্ষিণ নাজিরপুর গ্রাম রক্ষা ও উন্নয়ন কমিটির  যুগ্ম আহবায়ক মীর সাইদুর রহমান শাহজাহান,বন্দর বাজারের ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বিশ্বাস প্রমুখ। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক জাহিদ হোসেনের সঞ্চালনায় এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল হুদা, ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইউনুস মিয়া,বন্দর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি ইদ্রিস মল্লিক, যুবলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম,বানারীপাড়া  পৌর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মাসুম,ক্রীড়া সম্পাদক রিপন বনিক,উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন দেবনাথ,ছাত্রলীগ নেতা হৃদয় সাহা,প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি জাকির হোসেন, ইলিয়াস শেখ ও জাহিন মাহমুদ,যুগ্ম সম্পাদক মোঘল সুমন শাফকাত,সহ-সম্পাদক মাইদুল ইসলাম শফিক, পৌর ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সজল চৌধুরী,পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শফিক শাহিন,সাধারন সম্পাদক ফায়েজ আহম্মেদ শাওন,শিক্ষক হায়দার আলী প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে পবিত্র ঈদ-ই মিলাদুন্নবী(সাঃ) উপলক্ষে দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রসঙ্গত  রাক্ষসি সন্ধ্যা নদী দক্ষিণ নাজিরপুর গ্রামের সিংহভাগ গ্রাস করে ফেলেছিলো। ওই গ্রামের সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়,মসজিদ,ঈদগাঁহ,রাস্তাঘাট,ব্রিজ কালভার্ট,ফসলি জমি,বসতভিটা সবই নদী গ্রাস করে ফেলে। বসতভিটা ও ফসলি জমিসহ সব কিছু হারিয়ে সহ¯্রাধিক পরিবার নিঃস্ব ও রিক্ত হয়ে পড়ে। সম্পত্তি ক্রয় করে বাড়িঘর করার যাদের সঙ্গতি নেই তারা অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে সদর ইউনিয়নের গুচ্ছ গ্রাম ও পৌরসভার  ১ নং ওয়ার্ড এবং সলিয়াবাপুর ইউনিয়নের খেজুরবাড়ি আবাসনে আবার কেউ কেউ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ও পৌরসভার অন্য ওয়ার্ডেও বসতি গড়েন।সপরিবারে রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরেও চলে যান অনেকে। যাযাবর জীবনও বেছে নিয়েছেন কেউ কেউ।

নদীর তীরে ছাপড়া ঘরে থেকে কোন একদিন চর জেগে উঠবে সেখানে আবার ঘরবসতি গড়ে তুলবেন এ আশায় বুক বেধে আছেন অনেকে। ভাঙনের ধারাবাহিকতায় ২৫/৩০ বছর পূর্বে  সম্পূর্ন ভেঙ্গে যাওয়া এ গ্রামটি গত এক যুগ ধরে একটু একটু করে জেগে উঠতে শুরু করে। দু’টি স্কুল ও মসজিদ নতুন করে এর অদূরে অন্যের দানকৃত জমিতে গড়ে তোলা হয়। পৈত্রিক ভিটা আবার ফিরে পাওয়ার স্বপ্ন দেখতে থাকে ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো। দু’একজন বালি ভরাট করে ঘর নির্মাণের প্রস্তুতিও নেয়।  কিন্তু হঠাৎ করে উপজেলা ভূমি অফিস ওই সম্পত্তির খাজনা নেওয়া ও বালি ভরাট বন্ধ করে দেওয়ায় তাদের স্বপ্নে ছেদ পড়ে।  সন্ধ্যা নদীর তীরে জেগে ওঠা বিশাল এ চর খাস সম্পত্তি হয়ে যেতে পারে এ শঙ্কায় পড়েন তারা। অভিযোগ রয়েছে ওই সম্পত্তি খাস করে একটি ভূমিগ্রাসী চক্র ডিসিআর নিয়ে ভোগ দখলের পায়তারা করছেন।এর প্রতিবাদে ১৩ অক্টোবর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ সহস্রাধিক পরিবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল – সমাবেশ করে ইউএনও’র কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন।

মুবার্তা/এস/ই

ফেসবুকে লাইক দিন