By মুক্তি বার্তা
ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ম্যাক্রোঁকে ক্ষমা না চাইলে আন্দোলন থামবে না – পীর সাহেব চরমোনাই
বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তি বার্তাঃ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, ফ্রান্স সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে পুলিশ পাহারায় মুহাম্মদ সা.-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করে মুসলিম উম্মাহ’র কলিজায় আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ম্যাক্রোঁ মুসলিম উম্মাহর কাছে ক্ষমা না চাইলে বিশ্বব্যাপী নবীপ্রেমিক জনতার আন্দোলন থামবে না। বরং আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্র হবে। বিশ্বমুসলিম নেতৃবৃন্দের ঘোষণা ফ্রান্সকে বয়কট এবং ফ্রান্সের পণ্য বর্জন অব্যাহত রাখতে হবে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ বিশ্বব্যাপী অশান্তি দূর করে শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব নিয়ে তা প্রতিষ্ঠা লাভ করলেও মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষায় জাতিসংঘ ব্যর্থ হয়েছে। তিনি জাতিসংঘ এবং ওআইসিকে ফ্র্যান্সের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ করার আহবান জানান। তিনি বাংলাদেশ সরকার এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা প্রস্তাব না করে পরোক্ষভাবে ফ্র্যান্সকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। তিনি সংসদে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব জ্ঞাপনের জন্য দাবি জানান।
আজ বিকেলে চরমোনাই মিলনায়তনে টরকি বন্দর ব্যবসায়ীদের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাইসহ বিশিষ্ট ব্যবসায়ীগণ উপস্থিত ছিলেন।
পীর সাহেব বলেন, মুসলমানরা তাদের নবী মুহাম্মদ সা.কে তাদের প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসে। মহানবীর অপমান কোন ঈমানদার সহ্য করতে পারে না।
তিনি বলেন, বাকস্বাধীনতার নামে ফ্রান্স ইসলামবিরোধী চরম অসভ্য ও নোংরা খেলায় মেতে উঠেছে। ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি এর আগেও ইসলাম ধর্ম নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছে। এসব উগ্র কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে ফ্রান্স সরকার ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। ফ্রান্স সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া বিশ্বের মুসলমানদের নৈতিক ও ঈমানি দায়িত্ব।
তিনি বলেন, মুসলমানরা অন্য কোন ধর্মের উপর কখনও আঘাত করার ইতিহাস নেই। কিন্তু বার বার অমুসলিমরাই ইসলাম ধর্মের উপর আঘাত করে আসছে এবং নবী সা.-এর ব্যঙ্গচিত্র করে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশেও বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উগ্রবাদীরা নবী মুহাম্মদ সা.কে নিয়ে কটুক্তি করছে। এসব বন্ধ করতে হবে। তিনি ইসলাম ও নবী সা. এর বিরুদ্ধে কটুক্তিকারীদের শাস্তির আইন প্রণয়ণ করে ধর্মদ্রোহীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
মুবার্তা/এস/ই