By মুক্তি বার্তা
পশু জবাইয়ের আগে ও পরে কিছু নিয়ম মেনে চলা উত্তম
রাত পেরোলেই পবিত্র ঈদুল আজহা। এরইমধ্যে অনেকে কোরবানির পশু কিনে নিয়েছেন। পশু জবাইয়ের আগে ও পরে কিছু নিয়ম মেনে চলা উত্তম। জেনে নিন-
* আজ রাত ১০টার পর কোরবানির পশুকে কোনো প্রকার খাদ্য খাওয়ানো যাবে না। তবে প্রচুর পরিমাণে পরিষ্কার নিরাপদ পানি পান করাতে হবে।
* ভোরেই কোরবানির পশুকে ভালোভাবে সাবান দিয়ে গোসল করাতে হবে।
* পশুকে কোরবানি করার মুহূর্তে তাকে শোয়ানোর জন্য ৩০ ফুট লম্বা নরম সুতা বা পাটের তৈরি ২০ হাত রশি ব্যবহার করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই নাইলনের দড়ি ব্যবহার করা যাবে না।
* জবেহ করার জায়গায় ঠিক গলার নিচে দেড় ফুট গভীর এবং দেড় ফুট আড়ে ও লম্বায় একটি গর্ত খুঁড়ে তার মধ্যে পশুর রক্ত ঝরাতে হবে।
* জবেহ করার পর পশুকে টানাহেঁচড়া না করে উঁচু করে সরিয়ে চামড়া ছড়াতে হবে। চামড়া ছড়ানোর কাজে অবশ্যই আগা ভোতা (নেকদার) ছুরি ব্যবহার করতে হবে।
* পশু কোরবানির জন্য দক্ষ লোক নিয়োগ করুন। নইলে কোরবানির পশুর সমস্যা গতে পারে। জবাইকৃত গরু উঠে দৌড় দিতে পারে। তাছাড়া পশুর অতিরিক্ত কষ্ট হতে পারে।
* চামড়ার সঙ্গে কোনোভাবেই যেন অতিরিক্ত মাংস আটকে না থাকে, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। মাথার চামড়া শরীরের মূল চামড়ার সঙ্গেই রেখে ছড়াতে হবে, পৃথক করা যাবে না।
* কোরবানির ক্ষেত্রে পশু জবেহ শেষে তার রক্ষ ও শরীরের যাবতীয় উচ্ছিষ্ট যথাযথভাবে অপসারণ করাই হচ্ছে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। পশুর রক্ত মাটি চাপা দেয়া উত্তম এবং গর্তের মধ্যে কিছু চুন বা ব্লিচিং পাউডার বা জীবাণুনাশক দিতে হবে। যাতে দুর্গন্ধ না ছড়ায় এবং শিয়াল/কুকুর মাটি খুঁড়ে রক্ত খেতে না পারে।
মুবার্তা/এস/ই