আজঃ রবিবার ● ১৫ই বৈশাখ ১৪৩১ ● ২৮শে এপ্রিল ২০২৪ ● ১৭ই শাওয়াল ১৪৪৫ ● রাত ৪:৩৮
শিরোনাম

By মুক্তি বার্তা

বর্জ্য সংরক্ষণের জন্য সাড়ে ১৭ হাজার কর্মী মাঠে থাকবেন

নভেল করোনা ভাইরাসকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এ বছর রাজধানী ঢাকার দুটি সিটি (উত্তর ও দক্ষিণ) করপোরেশন এলাকায় কোরবানির পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা হচ্ছে। এজন্য সংস্থা দুটির সাড়ে ১৭ হাজার কর্মী মাঠে থাকবেন। বর্জ্য অপসারণে ব্যবহার করা হবে সাড়ে ৭০০ যানবাহন। কোরবানির পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হবে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) করোনা পরিস্থিতিকে গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত বর্জ্য অপসারণে নগরীতে ২৫৬টি নির্ধারিত স্থান চিহ্নিত করে দিয়েছে।

ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, কোরবানির ঈদের দিন প্রায় ১০ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হবে। প্রতি বছরের মতো এবারও কোরবানির পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব বর্জ্য অপসারণ করা হবে। হালাল উপায়ে পশু কোরবানির জন্য ২৫০ জন ইমাম ও ২৫০ জন মাংস প্রস্তুতকারীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

তিনি জানান, কোরবানির পশুর বর্জ্য সুষ্ঠুভাবে অপসারণে অতিরিক্ত জনবল ও যানবাহন বরাদ্দ রাখা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে বর্জ্য অপসারণে সংশ্লিষ্ট সবাই তৎপর থাকবে। এজন্য ডিএনসিসি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোরবানির পশুর হাট ও কোরবানির বর্জ্য সুষ্ঠু তদারকিতে নগর ভবনে একটি মনিটরিং কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। এতে ডিএসসিসির বিভাগীয় প্রধানগণ ছাড়াও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন পরিক্রমায় দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও মাঠ পর্যায়ের বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সচিত্র মনিটরিংয়ের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আরেকটি টিম গঠন করা হয়েছে। যারা ৭৫টি ওয়ার্ডে সরেজমিনে সচিত্র বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম তদারকি করবেন।

এছাড়াও বর্জ্য অপসারণ সংক্রান্ত তথ্য জানাতে কন্ট্রোল রুমে হটলাইন চালু করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোরবানির ঈদের দিন ডিএসসিসিতে বর্জ্য সংরক্ষণের জন্য প্রায় ১ লাখ বিশেষ ধরনের ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে। ডিএসসিসির ৭৫টি ওয়ার্ডের ৭৫টি নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাই করা হবে। এ লক্ষ্যে জনসচেতনতায় ১ লাখ লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ডিএসসিসি সচিব আকরামুজ্জামান জানিয়েছেন, কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে তাদের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। নগর ভবন থেকে সরাসরি মনিটরিংয়ের জন্য কন্ট্রোল রুম চালু হয়েছে। অন্যান্য বছরের মতো এবারও কোরবানি পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব বর্জ্য অপসারণ করা হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন