আজঃ সোমবার ● ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১ ● ২৯শে এপ্রিল ২০২৪ ● ১৯শে শাওয়াল ১৪৪৫ ● দুপুর ২:২৬
শিরোনাম

By মুক্তি বার্তা

আদিতমারির মাইক্রোবাসচালক বেলাল হোসেন হত্যার আসামী আটক

ফাইল ছবি

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার পাঠানটারী এলাকায় মাইক্রোবাসচালক বেলাল হোসেন (২৯) হত্যা মামলায় রহস্য উন্মোচন ও ঘাতক মো. আলমগীর হোসেন (৩০) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বেলাল লালমনিরহাটের সদর উপজেলার হাড়িভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মাদ আবুল কালাম আজাদের ছেলে।

মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) দুপুরে নিজ সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাট পুলিশ সুপার (এসপি) আবিদা সুলতানা। গ্রেপ্তার আলমগীর হোসেন লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোস্তফি এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে। তিনি নিহত মাইক্রোবাসচালক বেলাল হোসেনের সদ্য বিবাহিত স্ত্রী লাবনী বেগমের দুলাভাই।

লালমনিরহাট পুলিশ সুপার তার সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, শ্যালিকা লাবনী বেগমের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক ছিল দুলাভাই আলমগীরের।

গত ২৪ জুন পারিবারিকভাবে মাইক্রোচালক বেলালের সঙ্গে বড়বাড়ি ইউনিয়নের আমবাড়ী এলাকার নজরুল ইসলামের মেয়ে লাবনীর বিয়ে হয়। কিন্তু লাবনীর সঙ্গে তার দুলাভাই আলমগীরের বিবাহ বহির্ভূত অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। ফলে এ বিয়ে মেনে নিতে পারেনি নববধূ লাবনীর পরকীয়া প্রেমিক দুলাভাই আলমগীর হোসেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি।

অবশেষে গত ২৫ জুলাই (শনিবার) রাত সাড়ে ৯টার দিকে আলমগীর হোসেন জুসের সঙ্গে চেতনানাশক দ্রব্য খাওয়ায় বেলালকে। এর পর তাঁকে নিয়ে যায় লালমনিরহাটের পার্শ্ববর্তী উপজেলা আদিতমারীর সারপুকুর ইউনিয়নের যুগিটারী গ্রামে। সেখানে আলমগীর ও তাঁর সহযোগীরা মিলে তাকে গলা কেটে হত্যার পর লাশ ফেলে দেয় লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কের পাশের একটি পাট ক্ষেতে। দুই দিন পর তার লাশ পানিতে ভেসে উঠলে খবর পেয়ে গত ২৭ জুলাই বিকেলে বেলালের লাশ উদ্ধার করে আদিতমারী থানা পুলিশ।

এ ঘটনার পর দিন নিহত বেলালের মা জরিনা বেগম বাদী হয়ে আদিতমারী থানায় একটি হত্যা মামলা (২৯) দায়ের করেন। ক্লু-লেস এ হত্যা মামলাটি আদিতমারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিচুর রহমান তদন্ত করে সন্দেহজনকভাবে নিহত বেলালের স্ত্রী লাবনী বেগমকে আটক করে। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যমতে গত সোমবার (৩ আগস্ট) আলমগীরকে সদর উপজেলার বড়বাড়ী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার আলমগীরের দেওয়া তথ্যে বেলালকে হত্যায় ব্যবহৃত ধারাল অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘাতক আলমগীর হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলেও প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে পুলিশ সুপার আবিদা

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম, আদিতমারী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিচুর রহমান আনিচ প্রমুখ।

ফেসবুকে লাইক দিন