আজঃ মঙ্গলবার ● ১৭ই বৈশাখ ১৪৩১ ● ৩০শে এপ্রিল ২০২৪ ● ১৯শে শাওয়াল ১৪৪৫ ● রাত ৪:৩৬
শিরোনাম

By মুক্তি বার্তা

চৌগাছায় গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ

প্রতিকি ছবি

চৌগাছায় মুখে বিষ ঢেলে নাজমা বেগম (৪৫) নামের এক বিধবাকে হত্যার অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার।
দুই সন্তানের জননী নাজমা বেগম উপজেলার সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের পুড়াপাড়া গ্রামের মৃত শাহাজানের স্ত্রী।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে দেবর আমিনুল ও তার স্ত্রী মরিয়ম বেগম পারিবারিক কলহের জের ধরে নাজমা বেগমের মুখে জোর করে বিষ ঢেলে দেয়। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্যের সহযোগিতায় উদ্ধার করে প্রথমে চৌগাছা সরকারি হাসপাতালে ও পরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোরে নাজমা বেগমের মৃত্যু হয়।
নাজমার খালাতো ভাই প্রভাষক ফারুক হোসেন বলেন, ‘প্রায় দুই বছর পূর্বে আমার বোনের স্বামী মারা যায়। স্বামীর মৃত্যুর পরে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতেই বসবাস করছিল। আমার বোনের জামাই তার আপন ছোট ভাই আমিনুল ইসলামের কাছে কিছু টাকা পাওনা ছিল। ভাইয়ের মৃত্যুর পরে আমিনুল আমার বোনকে টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করে। স্থানীয় গণ্যমান্যদের সহযোগিতায় আমিনুল ৪৫ হাজার টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয়। এর পর থেকেই আমার বোন ও তার ছেলে মেয়েকে টাকা ফেরত চেয়ে প্রায়ই হত্যার হুমকি দিত আমিনুল ইসলাম। হুমকির ঘটনায় চৌগাছা থানায় একটি জিডি-ও করেন আমার বোন নাজমা।’
‘ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে বোনের দেবর আমিনুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মরিয়ম জোর করে মুখে বিষ ঢেলে দেয়। এসময় নাজমার চিৎকারে তার ছেলে ও মেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু কালামের সহযোগিতায় উদ্ধার করে প্রথমে চৌগাছা সরকারি হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় শুক্রবার ভোরে নাজমার মৃত্যু হয়।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু কালাম বলেন, ‘নাজমা বেগমের পরিবারে তার স্বামী জীবিত থাকালীন সময় থেকেই দেবর আমিনুল ইসলামের সাথে কলহ ছিল। মুখে বিষ ঢেলে দিয়েছে কি না তা বলতে পারব না। তবে যতটা শুনেছি আমিনুল ও তার স্ত্রী মরিয়ম নাজমার ঘরে তালা দিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করতে নিষেধ করে এবং নাজমা বেগমকে বিষ পান করে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিলে সে বিষ পান করে।’
যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে দায়িত্বরত পুলিশ অফিসার এসআই রুহুল আমিন মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চত করে জানান, নাজমার মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে।
চৌগাছা থানার ওসি রিফাত খান রাজিব বলেন, ‘আমি ছুটিতে রয়েছি। কবে কী বিষয়ে জিডি করেছিল নথি না দেখে এখনই বলা সম্ভব না। তবে পরিবার অভিযোগ করলে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হবে।’
এদিকে, নাজমাকে বাবার বাড়ি কোটচাঁদপুর উপজেলার তালশার গ্রামে দাফন করা হয়েছে।

মুবার্তা/এস/ই

ফেসবুকে লাইক দিন