By: মুক্তি বার্তা
চৌগাছার স্বর্পরাজপুরের মারুফ হত্যায় ৪ জনের মৃত্যুদন্ড
চৌগাছা প্রতিনিধিঃ যশোরের চৌগাছার স্বর্পরাজপুর দাখিল মাদরাসার ছাত্র মারুফ হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে খালশপ্রাপ্ত ১০ আসামীর ৪ জনকে মত্যুদন্ড এবং ১জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আপিলকারীর আইনজীবী জানান, যে চার আসামিকে হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন তাঁরা হলেন মো. সুলাইমান মণ্ডল, আবুল বাশার, মো. বাবু ও আজাহারুল ইসলাম ওরফে বুড়ো। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে মো. হজরত আলী মণ্ডলকে।
এই ৫ জনসহ ১০ আসামির সবাইকে খালাস দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত। খালাস পাওয়া অপর পাঁচজন হলেন মো. বিল্লাল হোসেন, মো. টুটুল মণ্ডল, শফিকুল ইসলাম, খলিল মণ্ডল ও মো. ইকরামুল হোসেন। তাঁদের খালাসের আদেশ বহাল রাখা হয়েছে বলে এই আইনজীবী জানান।
রায়ের পর আইনজীবী চৌধুরী সামসুল আরেফিন প্রথমআলোকে বলেন, মারুফকে কারা অপহরণ করে হত্যা করেন, তা আসামি আজাহারুল ইসলামের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসেছে। এই জবানবন্দি সাক্ষী দিয়ে সমর্থিত। অথচ বিচারিক আদালত তা বিবেচনায় না নিয়ে নৃশংস ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, চাক্ষুষ সাক্ষীর সাক্ষ্য ও পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনায় নিয়ে হাইকোর্ট চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও বয়স বিবেচনায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।
নথিপত্র থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১০ আগস্ট সকালে চৌগাছা উপজেলার স্বর্পরাজপুর গ্রামের মহিদুল ইসলামের ছেলে মো. মারুফ হোসেন বাড়ি থেকে বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়। এরপর খোঁজ করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে ১৬ আগস্ট চৌগাছা থানার কান্দি মৌজায় অবস্থিত এক ব্যক্তির বাগানে মাথাবিহীন হাত–পা কাটা লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় পরদিন হজরত আলিসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চৌগাছা থানায় হত্যা মামলাটি করেন মোছা. আবেরুন নেছা।