আজঃ সোমবার ● ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১ ● ২৯শে এপ্রিল ২০২৪ ● ১৯শে শাওয়াল ১৪৪৫ ● সন্ধ্যা ৭:৩২
শিরোনাম

By: মুক্তি বার্তা

আড্ডা ও খুঁনসুটিতে ইবির আল হাদীস বিভাগের প্রাণের উচ্ছ্বাস মিলনমেলা 

ফাইল ছবি

রানা আহম্মেদ অভি, ইবি:
বিশ্ববিদ্যালয় জীবন, বহুমাত্রিক কারণে একজন মানুষের জীবনে সবচেয়ে স্মরণীয় সোনালি অধ্যায়। এই অধ্যায়ে মানুষ তার জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সময় পার করে। এসব স্মৃতি কি চাইলেই ভোলা যায়! এই ক্যাম্পাসের চিরপরিচিত আঙিনায় মানুষ পায় বন্ধু, সহপাঠী কিংবা প্রিয়জন।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার পর চাইলেই কি দেখা হয় সবার সঙ্গে? কদাচিৎ এসব প্রিয় মানুষের দেখা মেলে। কাজের ফাঁকে ক্যাম্পাসে কাটানো স্মৃতির ঝাঁপি খুলে বসলে যেনবা মনের অজান্তেই মুখের কোণে ফুটে ওঠে এক চিলতে হাসির রেখা। জীবনের চলার পথে এসব প্রিয় মানুষের সঙ্গ অতি কাঙ্ক্ষিত। বহুকাল পরে দেখা হলে তো আর কথাই নেই, স্মৃতিচারণে, আড্ডায় যেন কথার ফুলঝুরি ফোটে।
আজ সারাদিন এমনই দৃশ্যের অবতারণা ঘটেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবন ও বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান অডোটেরিয়াম এলাকায়। পুরোনো সতীর্থদের পেয়ে অনেকেই আবেগে আপ্লুত হয়েছেন। কেউ কেউবা জড়িয়ে ধরছেন একে অপরকে। কেউ কেউবা আড্ডায়, উচ্ছ্বাসে মেতেছেন।
দীর্ঘদিন পর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বন্ধুদের পেয়ে শিশুদের মতোই খুনসুটিতে মেতেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। আড্ডার আসরে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তাঁরা ফিরে গিয়েছিলেন সেই তরুণ কাঁচা বয়সে, বিশ্ববিদ্যালয়ে সবুজ ক্যাম্পাসে। আড্ডার সঙ্গে সঙ্গে চলছিল বিভিন্ন স্টাইলে তোলা সেলফির ঘনঘটা। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মুখর প্রাণের স্পন্দন জেগেছিল পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে।
আজ শনিবার প্রথমবারের মত পুনর্মিলনী উৎসবে বাধভাঙা উল্লাসে মেতেছে আল হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
এসময় বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সৈয়দ মাকসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া, থিওলজি অনুষদের ডিন ড. এ এইচ এ এন এম এরশাদ উল্লাহ ও বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. আ খ ম ওয়ালিউল্লাহ প্রমুখ।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, সৃষ্টি ও মিলনের উচ্ছ্বাস আছে আজকের এই মিলনমেলায়। আপনারাই হচ্ছেন এই বিভাগের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বাসেডর। জীবনে দুইটা জায়গায় হেরে গেলেও আনন্দ বুক ভরে যায় তা হলো সন্তান ও নিজ ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে। এই হারবার মধ্যেও রয়েছে এক ধরনের বিজয়। তিনি উপস্থিত অ্যালামনাইদের জ্ঞান, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও নীতি নৈতিকতায় সমৃদ্ধ হয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য আহবান জানান।

ফেসবুকে লাইক দিন