By মুক্তি বার্তা
দেড়শো বছরের প্রাচীন পৌরসভা যশোর
সাজেদ রহমানঃ দেড়শ’ বছরের প্রাচীন যশোর পৌরসভার আয়াতন বৃদ্ধি পেল। সীমানা বাড়ানোর সিদ্ধান্তের উপর আপত্তি না থাকায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে গেজেট প্রকাশ করেছে। এতে যশোর পৌরসভার আয়তন বেড়ে গেলো ৭ বর্গ কিলোমিটার।
পৌরসভায় যুক্ত হলো পুরো উপশহর ইউনিয়ন। পাশাপাশি চাঁচড়া, রামনগর, ফতেপুর, নওয়াপাড়া ও আরবপুর ইউনিয়নের আংশিক এলাকা পৌরসভায় যুক্ত হলো। পৌরসভার সীমানা ১৪ দশমিক ৭২ বর্গ কিলোমিটারের সাথে ৭ বর্গ কিলোমিটারের একটু বেশি বেড়ে এখন প্রায় ২২ বর্গ কিলোমিটার হলো।
১৮৫৪ সালে মিঃ ফোর্টের চেষ্টায় যশোর শহরে প্রথম পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা গড়ে উঠে। সে সময়ের জন্য এ ধরণের পদক্ষেপ ছিল এক স্মরণীয় ঘটনা। বৃটিশ ভারতে প্রথম পৌরসভা গঠিত হয়েছিল হাওড়া ও দার্জিলিং। এরও দশ বছর পর ১৮৬৪ সালের ১৩ জুলাই বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নরের ঘোষণা অনুসারে যশোরের গুরুত্ব বিবেচনা করে ওই বছরের ১ আগস্ট থেকে গঠিত হলো যশোর পৌর সমিতি। সে সময় পৌর সমিতির এলাকা ছিল মূল শহর আর চারপাশের কয়েকটি গ্রাম অর্থাৎ পুরাতন কসবা, ঘোপ, বারান্দীপাড়া, চাঁচড়ার কয়েকটি এলাকা।
বছরখানেক পরে নীলগঞ্জ,খড়কী, চাঁচড়ার অবশিষ্ট অংশসহ বগচর, মুড়লী ও শংকরপুর যুক্ত হয় পৌর এলাকার সাথে। পদাধিকার বলে ৪ আগস্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মি: ই ডব্লিউ ম্যালানি পৌর চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। যশোর পৌরসভার প্রথম ভাইস চেয়ারম্যান নিযুক্ত হলেন মিঃ টি. টি. অ্যালেন। কমিশনার ছিলেন জে ককবার্ণ, মি:জে. সি. কর্ক, রাজা বরদাকান্ত রায় বাহাদুর, বাবু শ্রী আনন্দ মোহন মজুমদার,বাবু মদন মোহন মজুমদার এবং মৌলবী গয়রাতুল্লাহ।
তখনও গড়ে উঠেনি পৌর সমিতির নিজস্ব অফিস ঘর। সমস্যা দেখা দিল কমিশনারদের সভার জায়গা নিয়ে। সে সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিলেন যশোর পাবলিক লাইব্রেরির পরিচালক মণ্ডলী। ১৮৬৪ সালের ৩১ আগস্ট হতে পাঠাগারেই পৌর সমিতির বৈঠক বসতে শুরু করলো। পরবর্তী সময়ে বাবু আনন্দ চন্দ্র চৌধুরীর একটি বাড়ি মাসিক ১৫ টাকায় ভাড়া নিয়ে ওই বাড়িতেই পৌর সমিতির দাপ্তরিক কার্যক্রম চলতে থাকে। পৌর সমিতির নিজস্ব ভবন নির্মিত হয় জন্মের তেত্রিশ বছর পর ১৮৭৯ সালে লালদীঘির উত্তর পাশে (পুরোনো ভবনটি ভেঙ্গে সেখানে বহুতল মার্কেট করার কাজ চলছে)। ধন্যবাদ বর্তমান পৌরমেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টুকে।
মুবার্তা/এস/ই