আজঃ শুক্রবার ● ২৭শে বৈশাখ ১৪৩১ ● ১০ই মে ২০২৪ ● ১লা জিলক্বদ ১৪৪৫ ● সকাল ১১:০১
শিরোনাম

By মুক্তি বার্তা

চৌগাছায় ত্রিশ বছর সংসারের পর প্রাথমিক শিক্ষকের পরকীয়া, স্ত্রী-সন্তানকে শারীরিক নির্যাতন ও ভরণ পোষন না দেয়ার অভিযোগ

চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধিঃ যশোরের চৌগাছার বহিলাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আসলাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে পরকীয়া প্রেমে আসক্তি, স্ত্রী-সন্তানদের ভরণ পোষন না দেয়া, তাদের শারীরিকভাবে নির্যাতন করা এবং নিজ বাড়িতে তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী রোজিনা খাতুন। গত ২৯ জুলাই যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট তিনি এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বিষয়টি সরেজমিনে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য চৌগাছা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন।

তদন্তের জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান ওই শিক্ষককে তলব করেন। বুধবার দুপুরে তাকে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আতিয়ার রহমানকে নিয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে বসে থাকতে দেখা যায়।

লিখিত অভিযোগে ওই শিক্ষকের স্ত্রী রোজিনা খাতুন বলেন, আমার স্বামী আসলাম উদ্দিন আপনার অধীনে চৌগাছা উপজেলাধীন বহিলাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক। বিগত ৩০ (ত্রিশ) বছর পূর্বে আমার বিবাহ হয়। আমাদের ২টি সন্তান আছে। প্রথম কন্যা সন্তান (নাম উল্লেখ করেছেন)। সে ইতিমধ্যে এম,এ পাশ করিয়াছে। এখনও বিবাহ হয়নি। দ্বিতীয় পুত্র সন্তান (নাম উল্লেখ করেছেন)। সে নবম শ্রেণির ছাত্র। আমার স্বামী দীর্ঘদিন যাবৎ পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হইয়া বিগত ৪/৫ বৎসর যাবৎ আমাদের উপর অত্যাচার নির্যাতন করিয়া আসিতেছে। প্রায়ই আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করিয়া আহত করিলে আমার সন্তানদের সাহায্যে ডাক্তারের শরণাপন্ন হই। যাহার প্রমাণ আমার দুই সন্তান দিবে। শত অত্যাচার নির্যাতন করিলেও সন্তানদের মুখের দিকে চাহিয়া আমি স্বামীর সংসারে আছি। বিগত ৪ বৎসর যাবৎ আমার স্বামী আমাকে ও সন্তানদের কোন প্রকার ভরণ পোষন দেয় না। তাই আমার বাবা মায়ের সহযোগীতায় সন্তানদের লইয়া মানবেতর জীবনযাপন করিতেছি। আমার স্বামী যখন তখন ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে। আমি সন্তানসহ স্বামীর বাড়িতে মানবেতর জীবনযাপন করিতেছি। তাহার অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করিয়া অদ্যাবধি তাহাকে ফিরাইতে পারি নাই।

গত জানুয়ারী মাস থেকে তার অত্যাচারের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় আমি ও আমার সন্তানসহ সহ্যসীমা অতিক্রম করায় মানবিক কারণে আমি আপনার শরনাপন্ন হইয়াছি।
লিখিত অভিযোগে তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন ‘আরও উল্লেখ থাকে যে অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজেকে একজন মানুষ বানানোর কারিগর হিসেবে দাবি করেন। কিন্তু তার স্ত্রী সন্তানকে দূরে সরিয়ে রেখে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়। এমতাবস্থায় সে কিভাবে স্কুলের ছোট ছাত্র/ছাত্রীদেরকে লেখাপড়া করাইতে পারে সেটা আমার বোধগম্য নয়।’
চৌগাছা উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট একটি লিখিত আবেদন করেছেন। ডিপিও মহোদয় সেটি এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্তকরে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সে কারনে ওই শিক্ষককে অফিসে ডাকা হয়েছে।

তবে এসব বিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্য অভিযুক্ত শিক্ষক আসলাম উদ্দিনের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল (০১৯১৫৫৬৪৪৫৪ ও ০১৮৪৮৩১৭৬৯৪ ) নম্বরদুটিতে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি।

মুবার্তা/এস/ই

ফেসবুকে লাইক দিন