আজঃ মঙ্গলবার ● ১৭ই বৈশাখ ১৪৩১ ● ৩০শে এপ্রিল ২০২৪ ● ২০শে শাওয়াল ১৪৪৫ ● সকাল ৮:৪৬
শিরোনাম

By: মুক্তি বার্তা

চৌগাছায় ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীর বিয়ে বন্ধ, বরের ২০ হাজার টাকা জরিমানা

ফাইল ছবি

চৌগাছা প্রতিনিধিঃ যশোরের চৌগাছায় ৭ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর বাল্য বিয়ে বন্ধ করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় বিয়ের বর চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার বসুভান্ডাদাহ গ্রামের কিরণ আহাম্মেদের ছেলে শরিফুল ইসলামকে (২২) ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এবং মেয়েটিকে পুনরায় স্কুলে ভর্তি করানো হবে বলে তার অভিভাবকদের কাছ থেকে মুচলেকা আদায় করা হয়।

চৌগাছার সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাফী বিন কবিরের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত এই জরিমানা আদায় করেন। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভূমি) সাথে চৌগাছা থানা পুলিশের সদস্যরা ছিলেন।

ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা যায়, শনিবার (২৬জুন) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রকৌশলী এম এনামুল হকের কাছে গোপন সংবাদ আসে উপজেলার ফুলসারা ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামে ৭ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর বাল্য বিয়ে দেয়া হচ্ছে। মেয়েটি গ্রামের একটি স্কুলে ৭ম শ্রেণিতে পড়ে। সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাফী বিন কবির সৈয়দপুর গ্রামে অভিযান চালান। এসময় সেখানে গিয়ে দেখা যায় বিয়ে করতে আসা বর শরিফুল ইসলামের বয়স ২২ বছর হলেও কনে স্কুল ছাত্রীটির বয়স মাত্র ১৩ বছর।

এ পর্যায়ে আদালতের বিচারক ও চৌগাছার সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাফী বিন কবির অপ্রাপ্তবয়স্ক কনে স্কুল ছাত্রীটির সাথে কথা বলেন এবং তার আর্থ-সামাজিক যে কোন প্রয়োজনে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা ভূমি অফিস তার পাশে থাকবে বলে ঘোষণা করেন। এরপর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বিয়ে বন্ধ করেন এবং ভ্রাম্যমান আদালতে বর চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বসুভান্ডারদহ গ্রামের কিরণ আহমেদের ছেলে শরিফুল ইসলামের নিকট থেকে ২০ হাজার টাকা আদায় করে বিদায় করে দেয়া হয়। একইসাথে মেয়েটিকে পুনরায় স্কুলে ভর্তি করা হবে বলে মেয়ের অভিভাবকদের নিকট থেকে মুচলেকা আদায় করা হয়।

আদালতের বিচারক সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীটিকে তার পরিবার এই বিয়ে দিচ্ছিল। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয় এবং বরকে অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে বিয়ে করার অপরাধে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। একইসাথে মেয়েটির পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে তাকে আবার স্কুলে ভর্তি করা হবে মর্মে মুচলেকা আদায় করা হয়। তিনি আরও বলেন আমি নিজে মেয়েটির সাথে কথা বলে তার আর্থ-সামাজিক যে কোন প্রয়োজনে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা ভূমি অফিস তার পাশে আছে বলে আশ্বস্ত করেছি।

মুবার্তা/এস/ই

ফেসবুকে লাইক দিন