আজঃ বুধবার ● ২২শে কার্তিক ১৪৩১ ● ৬ই নভেম্বর ২০২৪ ● ৩ জমাদিউল-আউয়াল ১৪৪৬ ● সকাল ১০:২১
শিরোনাম

Byঃ মুক্তি বার্তা

ইবিতে শ্রেণীকক্ষের দাবিতে শিক্ষক লাউঞ্জে তালা! ।। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তালা ভাঙতে গিয়ে বাঁধার সম্মুখীন প্রক্টর

ফাইল ছবি

রানা আহম্মেদ অভি, ইবিঃ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের শিক্ষক লাউঞ্জে তালা মেরেছে অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগেন শিক্ষার্থীরা। শ্রেণীকক্ষ সংকট নিরসনের প্রশাসন বরাবর অনুরোধ করে আশানুরূপ ফল না পেয়ে তালা মেরেছে বলে দাবি শিক্ষার্থীদের। এদিকে তালা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতিতে তালা ভাঙতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বাঁধার সম্মুখীন হয়েছে প্রক্টর।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের শিক্ষক লাউঞ্জের সামনে এ ঘটনা ঘটে। দ্রুত শ্রেণীকক্ষ সংকট নিরসন না হলে শিক্ষক লাউঞ্জ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

তালা ভাঙার সময় প্রথম বাঁধা প্রদান করে বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মিনহাজুল আবেদিন। তিনি বলেন, ‘আমরা শ্রেণীকক্ষ সংকটে ক্লাস করতে পারছি না। অন্য বিভাগগুলো আমাদের শ্রেণীকক্ষ জোরপূর্বক ব্যবহার করছে। আমরা অলরেডি দুই বছরের সেশনজটে রয়েছি। আমাদের এক দফা এক দাবি শ্রেণীকক্ষ সংকট অতি দ্রুত নিরসন করতে হবে। তাছাড়া আমরা শিক্ষক লাউঞ্জ খুলতে দিবোনা। আমরা সেশনজটের সমস্যায় জর্জরিত হয়ে থাকবো আর শিক্ষকরা নিশ্চিন্তে থাকবে এমনটা হবেনা।’

প্রশাসনের কাছে বারবার শ্রেণীকক্ষ সংকট নিরসনের দাবি নিয়ে গিয়েছে বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুহাম্মদ আইদিদ। তিনি বলেন, ‘ আমরা প্রশাসনের কাছে বারবার গিয়েছি। তারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছে কিন্তু আমাদের সমাধান করে দেননি। গত কয়েকদিন ধরে উপাচার্য মহোদয়ের কাছে বারবার যাচ্ছি।  আজ যখন শিক্ষক লাউঞ্জে তালা মেরেছি, শ্রেণীকক্ষ সংকট নিরসন না হলে এই তালা খোলা হবেনা।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাত হেসেন আজাদ বলেন, ‘সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক সিনিয়ার শিক্ষকরা মুঠোফোনে কল দিয়ে জানাচ্ছেন তাদের নাস্তা করার লাউঞ্জে তালা মেরেছে শিক্ষার্থীরা।  বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক সরেজমিনে ওই তালা ভাঙতে গেলে শিক্ষার্থীরা বাঁধা প্রদান করেন। তখন আমি কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে বিষয়টা সমাধানের চেষ্টা করি।’

তিনি আরো বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা শিক্ষার্থীদের চাহিদাপত্র নিয়ে প্রশাসনের কাছে বারবার যেতে পারে। কিন্তু শিক্ষকদের খাবার লাউঞ্জে এভাবে তালা মারা এটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যৌক্তিক বলে মনে করেনি। আমি শুধু আমার দায়িত্ব পালন করেছি। তারা প্রক্টরিয়াল বডির সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে। এপর্যায়ে সকলকে অবরুদ্ধ করার প্রচেষ্টা করেছে। অপমানিত করতে হাত তালি দেয়। পরে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমাদের প্রক্টরিয়াল বডি ওই তালা না ভেঙে প্রশাসনের সাথে কথা বলতে বললে ফিরে আসি।’

ফেসবুকে লাইক দিন