আজঃ মঙ্গলবার ● ১৭ই বৈশাখ ১৪৩১ ● ৩০শে এপ্রিল ২০২৪ ● ১৯শে শাওয়াল ১৪৪৫ ● রাত ৩:৫০
শিরোনাম

By: মুক্তি বার্তা

ইবিতে র‍্যাগিংয়ের আশঙ্কায় সংগঠনগুলো নবীনবরণ বন্ধ ঘোষণা

ফাইল ছবি

রানা আহম্মেদ ইবি প্রতিনিধি।। 
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সামাজিক ও জেলা কল্যাণ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর নবীনবরণ অনুমোদন বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে শিক্ষার্থীদের ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর মধ্যে। প্রশাসনের দাবি র‍্যাগিংয়ের আশঙ্কা এড়াতে এই ধরনের অনুষ্ঠান এখন থেকে অনুমোদন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাত হোসেন আজাদ।
তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টের কর্তৃক র‍্যাগিং হতে পারে এমন অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলার নির্দেশনা রয়েছে। কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছিল যেখানে নবীনদের বড় জামায়েত করা হয় সেখানে র‍্যাগিংয়ের আশঙ্কা থেকে যায়। আপাদত জাতীয় কর্মসূচি ব্যতীত জেলা কল্যাণ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো নবীন বরণ বন্ধ থাকবে।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলে ফুলপরী খাতুন নামে এক ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন,  র‍্যাগিং ও ভিডিও ধারণের আলোচিত ঘটনার পর থেকেই এই বিষয়ে নড়েচড়ে বসেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এখন থেকে র‍্যাগিং নিয়ে শক্ত অবস্থানে থাকবে কর্তৃপক্ষ বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী ও জেলা কল্যাণ সমিতিগুলো সদস্যরা। তাঁদের দাবি, ‘স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে ও ভ্রাতৃত্বের বাড়াতে কাজ করে।  সংগঠনগুলোর নবীন বরণ অনুষ্ঠানে কখনোই র‍্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটেছে এমন ঘটনা কারো জানা নেই। বরং এসব সংগঠন থেকেই শিক্ষার্থীদের র‍্যাগিং প্রতিরোধে সর্বদাই সচেতন করে। ‘
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব সামাজিক সংগঠনগুলোর রয়েছে তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বাধা দেওয়া অর্থ সংস্কৃতি ধ্বংস করে দেয়া। কিছুদিন পর সুস্থ সংস্কৃতি চর্চা বাধাগ্রস্ত হবে। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পুনর্বিবেচনা করা উচিত এবং এ সিদ্ধান্ত বাতিল করা উচিত।’
অন্যদিকে এই বিষয়ে কিছুই জানেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিন। তিনি বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর নবীন বরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে এ ব্যাপারে অফিশিয়ালি আমাকে কিছু জানানো হয়নি। আমার কাছে যে সংগঠনগুলো অনুমোদন নিতে আসে আমি তাদের অনুমোদন দিয়েছি। তবে প্রক্টরের অনুমতি নিতে নিষেধাজ্ঞা বা বাধা আছে কিনা এ ব্যাপারে আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘নবীন শিক্ষার্থীদের ম্যানার শেখানো ও র‍্যাগিংয় বিষয় নিয়ে আমাদের কাছে কিছু অভিযোগ এসেছে। আমি বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই তাই এ বিষয়ে এখন বিস্তারিত বলতে পারছি না।

ফেসবুকে লাইক দিন