আজঃ বৃহস্পতিবার ● ২রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ ● ১৬ই মে ২০২৪ ● ৭ই জিলক্বদ ১৪৪৫ ● সকাল ৯:০০
শিরোনাম

By মুক্তি বার্তা

যে কোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশে কোভিড-১৯ ভাইরাসটি দ্রুতগতিতে এর রূপ পরিবর্তন

ফাইল ছবি

দ্রুতগতিতে রূপ পরিবর্তনের ফলে কতোটা লাভ বা ক্ষতি হচ্ছে সেটি জানতে বিশ্বব্যাপী গবেষণা অব্যাহত রয়েছে। দেশের ৮টি বিভাগে কোভিড-১৯ এর ২৬৩টি জিনোম সিকোয়েন্সিং ও ডাটা বিশ্লেষণ করে ৫ ধরনের স্বতন্ত্র করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, যা বিশ্বের আর কোথাও পাওয়া যায়নি। ৭৩৭টি পয়েন্টে জিনের রূপ পরিবর্তনের হারও যেকোনো দেশের তুলনায় বেশি। এই

বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) মিলনায়তনে রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বিসিএসআইআর জিনোমিক রিসার্চ ল্যাবরেটরির কোভিড-১৯ এর জিনোম সিকোয়েন্সিং প্রতিবেদন অবহিতকরণ সভায় বিসিএসআইআরের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আফতাব আলী শেখ এ তথ্য জানান। এ সময় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানসহ বিসিএসআইআর জিনোমিক রিসার্চ ল্যাবরেটরির গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন।

গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, যে কোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশে কোভিড-১৯ ভাইরাসটি দ্রুতগতিতে এর রূপ পরিবর্তন করছে। সারাবিশ্বে রূপ পরিবর্তনের হার যেখানে ৭ দশমিক ২ বাংলাদেশে সেই হার ১২.৬০। এছাড়াও দেশে কোভিড-১৯ এর জিনগত ৫টি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট পাওয়া গেছে।

বিসিএসআইআররের চেয়ারম্যান বলেন, চলমান বৈশ্বিক কোভিড-১৯ মহামারিতে সারাবিশ্বের বিজ্ঞানীরা সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের উৎস, গতি-প্রকৃতি ও বিস্তার নির্ণয়ের পাশাপাশি এ ভাইরাসের ওষুধ ও ভ্যাকসিনের ওপর গবেষণা করছেন। সে লক্ষ্যে বাংলাদেশেও সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং করার প্রকল্প গ্রহণ করে। গবেষণালব্ধ ফল রিসার্চ পেপার আকারে আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হবে। একই সঙ্গে চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিশ্বের প্রায় ৫০টি কোভিড-১৯ টিকা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানকে এ প্রতিবেদন পাঠানো হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মুশতাক ইবনে আয়ুব বলেন, দ্রুতগতির রূপ পরিবর্তনে ভাইরাসটি ক্রমশ দুর্বল বা প্রবল শক্তিশালী হবার আশঙ্কা রয়েছে। তবে লাভ ক্ষতি কি হচ্ছে সেটি জানতে আরো গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। দ্রুতগতিতে জিন পরিবর্তন করলে হয় দুর্বল হয়ে পড়বে নতুবা আরো শক্তিশালী হবে।

মুবার্তা/এস/ই/মুবার্তা/আর

ফেসবুকে লাইক দিন