আজঃ বুধবার ● ২৭শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ● ১১ই ডিসেম্বর ২০২৪ ● ৮ই জমাদিউস-সানি ১৪৪৬ ● বিকাল ৪:১৪
শিরোনাম

By: মুক্তি বার্তা

মাধ্যমিক ও উচচ মাধ্যমিক শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে বিগত সরকার। যা পূরণ এখন সময়ের দাবি।

ফাইল ছবি

অমেদুল ইসলাম প্রভাষকচৌগাছা মৃধাপাড়া মহিলা কলেজ,চৌগাছা,যশোরঃ দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পযার্য়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বিভিন্ন দাবি বিগত ষোল বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকার কর্ণপাত করেনি। বরং বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আন্দোলনকারি অনেকের চাকুরীচূত করেছেন।বিগত সময়ে শিক্ষকদের শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ পুলিশ দিয়ে লাঠি চার্জ করে সমাবেশ ভন্ডুল করেছেন। পরবর্তীতে শিক্ষকদের আমরণ অনাশন কর্মসূচিতে তৎকালীন শিক্ষা উপমন্ত্রী ও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের পরিচালক এগার জুলাই ২০২৩ শিক্ষকদের সাথে বসার কথা বলে এক বৈঠকে সাফ জানিয়েদের জাতীয় নির্বাচনের আগে জাতীয়করণ সম্ভব নয়। জাতীয়করণের লক্ষ্যে সেসময় দুটি কমিটি গঠন করা হয়।যা আন্দোলন বন্ধ করার প্রেয়াস মাত্র। বাংলাদেশে বেসরকারি শিক্ষকরা গত ৫৩বছরে বিভিন্ন দাবি পূরণের জন্য আন্দোলন করে আসছে।দাবি কথা গুলো প্রধানমন্ত্রীর কাছে বলতে চাইলে শিক্ষকের দেখা করার সুযোগ দেওয়া হয়নি।
বর্তমান বেসরকারি শিক্ষকরা নানা ধরনের বঞ্চনার শিকার। অথচ একই কারিকুলামের অধীনে একই কাজে নিয়োজিত থেকে আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারিদের মধ্যে রয়েছে পাহাড়সম বৈষম্য। সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষকদের সুযোগ সুবিধার তুলনা করলে একটি হতাশাজনক চিত্র ফুটে উঠে। সরকারি মাধ্যমিক পযার্য়ের শিক্ষকের প্রারম্ভিক বেতন ১৬ হাজার ৫শত টাকা। অন্যান্য সুযোগ সুবিধাসহ উত্তোলন করতে পারেন ২২ হাজার টাকা। অপর দিকে বেসরকারি শিক্ষকের প্রারম্ভিক বেতন ১২ হাজার ৫ শত টাকা।অন্যান্য সুযোগ সুবিধাসহ উত্তোলন করতে পারেন ১৩ হাজার ২ শত টাকা। সরকারি শিক্ষকের বাড়িভাড়া ভাতা মুল বেতনের ( ৪০-৫০)%, বেসরকারি শিক্ষকের মাসে ১ হাজার টাকা। সরকারি শিক্ষকদের চিকিৎসা ভাতা মাসে ১৫০০ টাকা। বেসরকারি শিক্ষকের ৫০০ টাকা।সরকারি শিক্ষকের উৎসব ভাতা ১০০%, বেসরকারি শিক্ষকের ২৫%. সরকারি শিক্ষকের টিফিন ভাতা ৫%, বেসরকারি শিক্ষকের নাই।সরকারি শিক্ষকের ভবিষ্যৎ তহবিলে কর্তন ৫%, বেসরকারি শিক্ষকের ১০%.সরকারি শিক্ষকের অবসরকালিন ভাতা মূল বেতনের ৩০০%, বেসরকারি শিক্ষকের ৯০%. যা সরকারি শিক্ষকরা অবসরের সাথে সাথে তুলতে পারে কিন্তু বেসরকারি শিক্ষকরা আবেদন করতে পারেন চার বছর পর। পরবর্তীতে নিজের জমানো টাকা তোলার জন্য হাটতে হাটতে মৃত্যু বরণ করার আগে তুলতে পারবে কিনা গ্যারান্টি নাই।
নানাবিধ সমস্যার কারণে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পযার্য়ের শিক্ষকরা এই পেশায় আছেন মহা যন্ত্রণা নিয়ে। প্রতিদিন ২৭৩ টাকা পারিশ্রমিক দিয়ে তাদের সংসার চালাতে পারছেন না।তাই তারা শিক্ষকতার পাশাপাশি অন্য পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করছেন।এর ফেলে শিক্ষাকতা পেশা ব্যহত হচ্ছে। এই মহান পেশায় মেধাবীরা আসছে না।
এমতাবস্থায় শিক্ষকদের মতামত আমাদের ছাত্ররা আন্দোলন করে ক্ষমতালোভী রাষ্ট্রযন্ত্রের পরিবর্তন আনতে পেরেছে। অতএব অন্তবর্ত্তীকালিন সরকারের সাথে বসে সমস্ত বেসরকারি শিক্ষাব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করে এই বৈষম্য দূর করবে অচিরেই।

ফেসবুকে লাইক দিন