স্বার্থ
কেয়ন ইমরান
আজি স্নিগ্ধ সকালে পাখির কলতানে
নিদ্রা হইতে জাগিয়া উঠিলাম আমি।
দেখিলাম প্রভাতী পূর্ব গগনে,
কী অপরুপ লীলা তব স্বামী!
সবুজ কচি ঘাস মাড়াইয়া
শিশিরে পা দু’খানি সিক্ত করিয়াছি।
পাখির মিষ্টি কলরব শুনিয়াছি,
সুকঠিন ব্রত আমি দেখিয়াছি।
গোত্র হউক না ভিন্ন,
জাতিতে উহারা বিহঙ্গ- নাহি বিদ্বেষ।
দুই ওয়াক্তে উহারা পুঁথিতে অনন্য,
থাক না যতই কায়ক্লেশ।
বর্ণ, জাতি, গোষ্ঠিতে ভিন্ন মানব জাতি,
ক্ষুদ্রকে পদতলে পিষে হয় বৃহত্তর।
মানবতা বোধের জ্বলে না বাতি,
ধর্মের দাঙ্গায় হয় নিষ্ঠুর আচার।
আপন জাতিকে অত্যাচার করিল যাহারা,
তাহাদের করি সাদরে আপ্যায়ন।
আপন ভাইয়ের বক্ষে জাগে সাহারা,
আমরা চাই শুধুই উন্নয়ন।
শত্রুর হাতে দেখিয়া লংকা- ভাবিয়া আপেল
হাসি মুখে জানায় সুস্বাগত।
হায়! জাতি এখনও রহিল আঁতেল।
মুখোশধারীকে দেখিয়া বলে, ইয়ে আচ্ছা বহত।
খোদার সেরা সম্পদ মানব জাতি,
ইহারা সেরা অপরাধও করে।
নাই মনে খোদার তরে ভীতি,
অশুভ ক্ষণিকের ক্ষমতাবানকে বরে।
একই গন্তব্যে করিতে হইবে গমন,
কেন পোষণ করে ভিন্ন মত?
ভুলিয়া গিয়া সত্য সাধন,
অশুভের সকাশে বাড়ায় হাত।
আপনাকে গড়িতে গিয়া অন্যের ছাঁচে,
সবকিছু ডুবিলেও জলে
উন্নয়নের আশায় বাঁচে।
থাক না বেদনার নীল ঝিলে।
মানব সকাশে জাতি নয় বড়।
স্বাস্থ্য নয়, স্বার্থ সকল সুখের মূল।
চলিতেছে অর্থ প্রতিযোগিতার দৌড়,
ক্ষয় নাই হউক না আদুল।
মুবার্তা/এস/ই