আজঃ সোমবার ● ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১ ● ২৯শে এপ্রিল ২০২৪ ● ১৯শে শাওয়াল ১৪৪৫ ● রাত ১১:৩০
শিরোনাম

By মুক্তি বার্তা

জেল হাজতে বেশ হাসিখুশি ভাবেই কাটছে ওসি প্রদীপের

ফাইল ছবি

সিনহা হত্যা মামলায় জেল হাজতে বেশ হাসিখুশি ভাবেই কাটছে ওসি প্রদীপের। অনেকটাই ফুরফুরে মেজাজে দিন পার করেছেন তিনি।

জেলকর্মীদের কাছে নিত্য নতুন আবদারও করছেন ওসি প্রদীপ। জেলকর্মীদের কাছে প্রদীপ জানিয়েছেন, এগুলো সব বোগাস! সব তামাশা। তিনি কোনো অন্যায় করেননি। তার কিছুই হবে না। তিনি জেলকর্মীদের সঙ্গে হাসিখুশি কথা বলেছেন।

তাদের কাছে শুধু একা থাকার সুবিধা চেয়েছেন টেকনাফের এই কথিত রাজা। বলেছেন, আমার রুমে আমি একা থাকতে চাই। আমার সঙ্গে আর কাউকে দেবেন না।

এবিষয়ে জেল সুপার মো. মোকাম্মেল হোসেনের এক প্রশ্নের জবাবে জানান, জেলে একা থাকার সুযোগ আছে। তাছাড়া তারা রিমান্ডের আসামি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সবাইকে আলাদা করে রাখা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত তাদের রিমান্ডের জন্য বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়নি।

প্রদীপের হাতে নির্যাতিত ও জেলে অন্তরীণ সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান ও ওসি প্রদীপের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় এমন একটি সংবাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি ওই সংবাদ সঠিক নয় বলে জানান। বলেন, দু’জন দুই জায়গায় থাকেন। একজনের সঙ্গে আরেকজনের দেখা সাক্ষাতের কোনো সুযোগ নেই।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জেলকর্মী জানান, ওসি প্রদীপ কুমার দাশের হাসিমাখা চেহারা দেখে বুঝার উপায় নেই তিনি মেজর অব. সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যা মামলায় জেলে আছেন। শুনানির দিন আদালত ভবনেও হাসিখুশি ছিলেন ওসি প্রদীপ। একজন আইনজীবী জানিয়েছেন, আদালত ভবনে ওসি প্রদীপ যতক্ষণ ছিলেন, হাসি-ঠাট্টা করে সময় পার করেছেন।

উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়িাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ইন্সপেক্টর লিয়াকত, ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ নয়জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

৬ আগস্ট বরখাস্ত ওসি প্রদীপসহ ৭ আসামি কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতে আত্মসমর্পন করেন। মামলার শুনানীতে র‌্যাবের পক্ষে প্রত্যেক আসামির ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত ইন্সপেক্টর লিয়াকত, ওসি প্রদীপ এবং এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতকে সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। চার আসামিকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেয় আদালত। অপর দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বিপিএম (বার) জানান, টেকনাফ থানার মামলা নম্বর : ৯/২০২০, যার সিআর মামলা নম্বর : ৯৪/২০২০ ইংরেজি (টেকনাফ) মামলায় ৭ আসামির জামিন আবেদন নাকচ হয়ে জেলে যাওয়ার পর, প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলী ইন্সপেক্টর হওয়ায় তাদেরকে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এবং বাকি ৫ জন যথাক্রমে এসআই নন্দলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়াকে তাৎক্ষণিক চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

মুবার্তা/এস/ই (সু/নি)

ফেসবুকে লাইক দিন