আজঃ রবিবার ● ২৮শে আশ্বিন ১৪৩১ ● ১৩ই অক্টোবর ২০২৪ ● ৯ই রবিউস-সানি ১৪৪৬ ● রাত ৯:৫২
শিরোনাম

By মুক্তি বার্তা

মাস্ক পরতে জনসাধারণের অনীহা থাকায় অভিযান চালানোর নির্দেশনা

ফাইল ছবি

নিউজ ডেস্কঃ মাস্ক পরতে জনসাধারণের অনীহা থাকায় যে কোনো সময় মার্কেট-শপিংমলে অভিযান চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

এর আগে একইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভার বৈঠকে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ওয়েভ নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা ভার্চ্যুয়াল মিটিংয়ে অংশ নেন।

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, দ্বিতীয় ওয়েভ আসার আগে সরকার মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে গুরুত্ব দিচ্ছে। সবাই মাস্ক ব্যবহার করা দরকার। সবাই মিলে ঠিকভাবে মাস্ক যদি ব্যবহার না করি তাহলে কিন্তু মুশকিল। কারণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই তরফ থেকে যদি মাস্ক পরা থাকে তাহলে ৯৫-৯৮ শতাংশ নিরাপদ। আর এক তরফ থেকে মাস্ক থাকলে ৬০-৬৫ শতাংশ নিরাপদ। মাস্ক যদি না পরে তাহলে কিন্তু কোনো কিছুই সফল হবে না। এজন্য সবাইকে মাস্ক পরতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, আমি সম্প্রতি একটি কাজে একটি মার্কেটে গিয়েছিলাম, সেখানে বেশি লোককে মাস্ক পরতে দেখিনি। পরে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি আমরা ক্রসচেক করবো যে কোনো দিন, সে মার্কেটে যদি সবাইকে মাস্ক পরা না দেখি তাহলে উই উইল টেক অ্যাকশন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ধর্ম মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সব মসজিদে জোহর ও মাগরিবের নামাজের সময় যেন ঘোষণা দেওয়া হয় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক, এটা রাষ্ট্রীয় কল্যাণকর নির্দেশ।

বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, কেউ মাস্ক কিনতে না পারলে বাড়িতে কাপড় দিয়ে সহজেই তা তৈরি করে নেওয়া যায়। মাস্ক যেন সবাই পরে।

স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে অভিযান অব্যাহত আছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, মোবাইল কোর্ট চলছে।

আবার শাটডাউনে যাওয়া হবে কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, মাত্রাটা কেমন হবে আমরা তো জানি না। আমাদের প্রস্তুতি তো রাখতে হবে। মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। ঠাণ্ডা থেকে প্রোটেকশন নিতে হবে। আর উপসর্গ দেখা গেলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল মিটিংয়ের বিষয়ে  মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অনেক দেশেই, বিশেষ করে শীত প্রধান দেশে দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন নভেম্বরের শেষ থেকে সেকেন্ড ওয়েভ আসে কিনা, সেই প্রিপারেশন রাখতে হবে। ম্যাসিভ প্রিপারেশন যেন থাকে।

সরকারপ্রধানও করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ওয়েভ নিয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন- আমাদের যেন প্রস্তুতি থাকে। প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন সেকেন্ড ওয়েভ যদি আসে, আমাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে যদি সচেতন হই, তাহলে আমাদের জন্য এটা সুবিধা হবে। পাশাপাশি উনি নির্দেশনা দিয়েছেন অক্টোবরের শেষ বা নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ঠাণ্ডার প্রকোপটা বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে আমাদের লোকজনের নিউমোনিয়া, সর্দি, জ্বর বা অ্যাজমাটিক সমস্যা থাকে, সবাইকে প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। এসবে আক্রান্ত হলে যেন চিকিৎসা করান। কোভিডের সেকেন্ড ওয়েভ এলে মাঠ পর্যায়ে সেটাকে কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে সেটার জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে বলেছেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, দ্বিতীয় ওয়েভ নিয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা আহ্বন করেছি। আমরা বসে বিস্তারিত কর্মসূচি নেবো।

মুবার্তা/এস/ই

ফেসবুকে লাইক দিন