দ্বিতীয় স্ত্রীর তিন ছেলে কর্তৃক পিটিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা এক বৃদ্ধকে উদ্ধার

চৌগাছা প্রতিনিধি : যশোরের চৌগাছায় পিটিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা নূরুল ইসলাম (৮৭) নামে এক বৃদ্ধকে উদ্ধার করেছেন পুলিশ। বৃদ্ধের দ্বিতীয় স্ত্রী চায়না বেগম, জামাই আশাদুল ইসলাম এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর তিন ছেলে পিটিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে বৃদ্ধ নূরুল ইসলামকে। খবর পেয়ে

শনিবার (১৭ অক্টোবর) রাতে চৌগাছা থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। আহত বৃদ্ধকে চৌগাছা সরকারি মডেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের দূর্গাপুর (রসুলপুর) গ্রামে। জানা যায়, দ্বিতীয় স্ত্রীর ছোট ছেলে আব্দুল হাই সিদ্দিকের নেতৃত্বে প্রথমে তাকে পিটিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়। পরে বৃদ্ধ তার প্রথম স্ত্রীর বড় ছেলে নজরুল ইসলামের বাড়িতে আশ্রয় নেন।

শনিবার সন্ধ্যায় জামাই আশাদুল ইসলাম ও স্ত্রী চায়না বেগম নজরুল ইসলামের বাড়ি হানা দিয়ে বৃদ্ধকে বেদম মারধর করে অবরুদ্ধ করে রাখে। এর আগে বৃদ্ধকে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে দুই বারে প্রায় ৮ বিঘা জমি নিজেদের নামে রেজিষ্ট্রি করে নেয়েছে।

বৃদ্ধ নূরুল ইসলাম গতকাল এ বিষয়ে চৌগাছা থানায় অভিযোগ দেন। খুলনার ডিআইজির নির্দেশে বৃদ্ধ চৌগাছা থানায় গিয়ে ওসি রিফাত খান রাজিবকে এ ঘটনা জানান। তিনি এর আগে একই অভিযোগ থানায় দিলে পুলিশ ছেলে-জামাইদের বিষয়টি মীমাংসা করে নিতে চাপ দেয়। এতে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে জামাইও ছেলেরা। শুক্রবার সকালে খুলনার ডিআইজির সাথে দেখা ও চৌগাছা থানায় গিয়ে ওসির নিকট অভিযোগ দেওয়ার বিষয়টি তারা জানতে পারে। তার প্রেক্ষিতেই আজকে এই মারপিটের ঘটনা ঘটিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে শনিবার রাতে চৌগাছা থানার এসআই শাহিন তাকে উদ্ধার করেন। আহত বৃদ্ধকে চৌগাছা সরকারি মডেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পিতাকে মারপিটের সময় তাকে রক্ষায় এগিয়ে আসলে বৃদ্ধের বড় ছেলে নজরুল ইসলাম (৫০) কে বেদম মারপিট করেছে তারা। আহত নজরুল ইসলামকে মহেশপুর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে চৌগাছা থানার এসআই শাহিন বলেন, আহত বৃদ্ধকে উদ্ধার করে চৌগাছা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে চৌগাছা থানার ওসি রিফাত খান রাজিব বলেন, এ ঘটনায় চৌগাছা থানায় মামলা হয়েছে। আসামীদের আটকের জন্য অভিয়ান চলছে।

মুবার্তা/এস/ই