আজঃ শুক্রবার ● ১৭ই কার্তিক ১৪৩১ ● ১লা নভেম্বর ২০২৪ ● ২৮শে রবিউস-সানি ১৪৪৬ ● সন্ধ্যা ৭:২০
শিরোনাম

By মুক্তি বার্তা

বরিশালে ধর্ষণ মামলায় ছেলে কারাগারে: খবর শুনে মারা গেলেন বাবা

রাহাদ সুমন,বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধি॥ বরিশালের বাকেরগঞ্জে ধর্ষণের মামলায় ছেলে কলেজ অধ্যক্ষকে কারাগারে পাঠানোর খবর শুনে মারা গেলেন বাবা।

শনিবার সকালে উপজেলার কলসকাঠি ইউনিয়নের কোচনগর গ্রামের নিজ বাড়িতে আব্দুর রশিদ মাতুব্বর মৃত্যুবরণ করেন। জানা গেছে চাকরি দেওয়ার কথা বলে এক তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণের মামলা হয় কবাই ইউনিয়নের ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। গত বুধবার বিকালে শহিদুল ইসলাম বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ সংবাদ শুনে শহিদুল ইসলামের বাবা আব্দুর রশিদ মাতুব্বর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে শনিবার সকাল ৭টার দিকে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। প্রসঙ্গত  ২০১৯ সালে একই অটোরিকশায় যাওয়ার সময় বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের এক তরুণীর সঙ্গে  অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলামের পরিচয় হয়। এর কিছুদিন পর তাদের আবার দেখা হয়। এ সময় অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম তার কলেজে ওই তরুণীকে চাকরি দেওয়ার কথা বলেন। কথোপকথনের একপর্যায়ে শহিদুল ইসলাম তার মোবাইল ফোন নম্বর চেয়ে নেন। এরপর তিনি প্রায়ই ফোন দিয়ে তার সঙ্গে কথা বলতেন। কয়েক মাস পর শহিদুল ইসলাম তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের সুবাদে ওই তরুণীর বাড়ি যাওয়া-আসা শুরু করেন শহিদুল ইসলাম।

২০১৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর রাতে মোবাইল ফোনে ওই তরুণীর সঙ্গে কথা বলে শহিদুল ইসলাম জানতে পারেন তিনি বাড়িতে একা আছেন। রাতেই শহিদুল ওই তরুণীর বাড়িতে যান এবং চাকরি ও বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। এরপর তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন শহিদুল। পরে ওই তরুণী দেখা করলে শহিদুল ইসলাম তাকে বিয়ে করতে ও চাকরি দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ ঘটনায় ওই তরুণী বাদী হয়ে গত ২২ জুন বাকেরগঞ্জ থানায় ধর্ষণের অভিযোগ এনে শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর শহিদুল ইসলাম উচ্চ আদালতে আত্মসমর্পণ করে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। গত ৪ নভেম্বর বুধবার বিকালে শহিদুল ইসলাম বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মুবার্তা/এস/ই

ফেসবুকে লাইক দিন