By মুক্তি বার্তা
বানারীপাড়ায় চাখারে প্রস্তাবিত শের-ই বাংলা হাই টেক পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ: স্থান পরিদর্শন
রাহাদ সুমন,বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনি
বরিশালের বানারীপাড়ায় অবিভক্ত বাংলার মূখ্য মন্ত্রী বাঙালী জাতির অবিসংবাদিত নেতা শের-ই বাংলা আবুল কাসেম ফজলুল হকের পূন্যভূমি চাখারে তার নামে প্রস্তাবিত হাই-টেক পার্ক স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই ও স্থান পরিদর্শন করা হয়েছে।
১৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল-২(বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মো. মনিরুল ইসলাম মনি’র নেতৃত্বে তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটির উপ-সচিব জোহরা বেগম বানারীপাড়ার ঐতিহ্যবাহী চাখার ইউনিয়নের সোনাহার-সাকরাল গ্রামে সন্ধ্যা নদীর তীরে হাই-টেক পার্ক স্থাপনের জন্য প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শন করেন। এসময় বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের এসিসটেন্ট মেইনটেন্যান্স প্রকৌশলী মো. মাহাবুল আলম,উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মফিজুর রহমান,উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও চাখারের ইউপি চেয়ারম্যান খিজির সরদার,বানারীপাড়া প্রেসক্লাব সভাপতি রাহাদ সুমন,সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক শাহিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে উপ-সচিব জোহরা বেগম বলেন সরকার দেশের প্রতিটি জেলায় হাইটেক পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবে অবিভক্ত বাংলার মূখ্যমন্ত্রী বাঙালীর মহান নেতা শের-ই বাংলা আবুল কাসেম ফজলুল হকের পূণ্যভূমি চাখারে তার নামে প্রস্তাবিত হাইটেক পার্কের স্থান পরিদর্শন করেছি। ঢাকায় ফিরে এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে প্রতিবেদন দেওয়ার পরে তারা পরবর্তী সিন্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
প্রসঙ্গত ২০১২ সালে বরিশাল-২(বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসনের সরকার দলীয় তৎকালীণ সংসদ সদস্য মো. মনিরুল ইসলাম মনি শের-ই বাংলার চাখার ইউনিয়নের সোনাহার-সাকরাল গ্রামে সন্ধ্যা নদীর তীরে হাই-টেক পার্ক স্থাপনের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তার প্রচেষ্টায় ওই সময় প্রধানমন্ত্রীর পিএস ও সচিব নজরুল ইসলাম খান (এন আই খান) সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা সরেজমিন পরিদর্শন করে হাই-টেক পার্ক স্থাপনের জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তখন চাখারের সোনাহার-সাকরাল গ্রামের সন্ধ্যা নদীর তীরে জেগে ওঠা বিশাল চরের পাশাপশি বিকল্প হিসেবে চাখার সরকারী ফজলুল হক কলেজের সম্পত্তিতে হাই-টেকপার্ক স্থাপনের জন্য প্রস্থাব দেওয়া হয়। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মো. মনিরুল ইসলাম মনি দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় প্রস্থাবিত হাই-টেক পার্ক স্থাপন প্রক্রিয়া থমকে যায়।
এরপর ২০১৭ সালে তিনি ডাক,টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহম্মেদ পলক সহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করে থমকে যাওয়া হাই-টেক পার্ক স্থাপনের কার্যক্রম পূনরায় শুরুর আবেদন করেন। ফলে ডাক,টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব সুশান্ত কুমার সাহা ২০১৭ সালের ১২ আগষ্ট শের-ই বাংলার চাখারের সোনাহার-সাকরাল গ্রামে প্রস্তাবিত হাই- টেক পার্কের স্থান পরিদর্শনে আসেন। তখন বরিশাল-২ আসনের আওয়ামীলীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য মো. মনিরুল ইসলাম মনি,শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্ম সচিব গোরীশংকর ভট্টাচার্য্য, জেলা পর্যায়ে আইটি/হাই-টেক পার্ক স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্ম সচিব মো. রুহুল আমিন খান,বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পরিচালক(অর্থ ও প্রশাসন) মো. আব্দুর রহিম,বরিশালের আরডিসি সুকুমার সরকার,বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী ফিরোজ আহম্মেদ,চিনা আইটি বিশেষজ্ঞ আবুলইকিমু আবুলইমিতি,বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান, চাখার ইউপি চেয়ারম্যান খিজির সরদার,বানারীপাড়া প্রেসক্লাব সভাপতি রাহাদ সুমন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। এরপর আবার হাই-টেক পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ থমকে যায়। কিন্তু প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে সাবেক সংসদ সদস্য মো. মনিরুল ইসলাম মনি সাম্প্রতিক সময়ে আবারও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও সচিব সহ যথাযথ কর্তৃপক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
এর ফলে ১৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটির উপ-সচিব জোহরা বেগম সরেজমিন পরিদর্শনে আসেন।
মুবার্তা/এস/ই