আজঃ শনিবার ● ৭ই বৈশাখ ১৪৩১ ● ২০শে এপ্রিল ২০২৪ ● ১০ই শাওয়াল ১৪৪৫ ● সকাল ১১:৪২
শিরোনাম

By মুক্তি বার্তা

বানারীপাড়া পৌর শহরে মেয়র প্রার্থী সুব্রত লাল কুন্ডুর বিশাল শোডাউন….

ফাইল ছবি

রাহাদ সুমন,বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধি॥ পৌরসভা  নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা কিংবা দিনক্ষণ চূড়ান্ত না হলেও বরিশালের বানারীপাড়ায় সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা তুঙ্গে রয়েছে। গোটা পৌর শহর প্রার্থীদের দোয়া-আশীর্বাদ ও সমর্থন চেয়ে পোষ্টার ব্যানার ও ফেষ্টুনে ছেয়ে গেছে।

পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সুব্রত লাল কুন্ডু শনিবার বিকেলে দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে পৌর শহরে স্মরণকালের বিশাল  নির্বাচনী শোডাউন করে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছেন। হাজার হাজার নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের অংশগ্রহনে তার শোডাউন টক অব দ্য টাউনে রূপ নিয়েছে।  দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে শোডাউনটি পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় মেয়র প্রার্থী পৌর আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় সভাপতি সুব্রত লাল কুন্ডু বলেন  দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হতে পারলে বানারীপাড়া পৌরসভাকে মাদক,সন্ত্রাস,দুর্নীতিমুক্ত আলোকিত এক তিলোত্তমা পৌরসভায় রূপান্তর করা হবে।

তিনি এসময় সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালণ করে জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত পৌরবাসীর পাশে থেকে তাদের সুখ-দুখের ভাগীদার হয়ে জনকল্যাণে নিবেদিত থাকারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। দুঃসময়ের ত্যাগী ও পরীক্ষিত মুজিব অন্তঃপ্রাণ উপজেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাবেক সফল ও জনপ্রিয় সাধারণ সম্পাদক এবং পৌর আওয়ামী লীগ ও বন্দর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির  সভাপতি সুব্রত লাল কুন্ডু একজন সৎ ও পরিচ্ছন্ন  নেতা হিসেবে সর্বমহলে সমাদৃত। তার নেতৃত্বে ১৯৮০ ও ৯০’র দশকে উপজেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগ সুসংগঠিত ও শক্তিশালী সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছিলো। ওইসময় তিনি ছাত্র ও যুবকদের ‘আইকনে’ পরিণত হয়েছিলেন।

দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তাকে কন্টকার্কীণ-পিচ্ছিল পথ পাড়ি দিয়ে আজকের  এ অবস্থানে আসতে হয়েছে।  স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে তিনি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের উপজেলা সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালণ করে আন্দোলনকে বেগবান করে চূড়ান্ত রূপ দিতে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রাখেন। ১৯৯১-৯৬ ও ২০০১-০৬ সালে বিএনপি-জামায়াতের বিভীষিকাময় দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে তাকে বার বার নির্যাতন ও মিথ্যা মামলাসহ নানাভাবে হয়রাণীর শিকার হতে হয়েছে। ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনেও তিনি নৌকার কান্ডারী হতে চেয়েছিলেন।

ওই সময় পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের সভাপতি ও সম্পাদক সহ পৌর আওয়ামী লীগের সকল নেতৃবৃন্দ তাকে রেজুলেশনের মাধ্যমে একক মেয়র প্রার্থী হিসেবে  জেলা আওয়ামী লীগের কাছে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবী জানিয়েছিলেন। ওই নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীণ সভাপতি অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীলকে মনোনয়ন দিয়ে পরবর্তী নির্বাচনে সুব্রত লাল কুন্ডুকে মূল্যায়ন করা হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছিলো। সেই আশ্বাসকে বিশ্বাস করে এবারের নির্বাচনে তার দীর্ঘ ত্যাগ-তিতিক্ষার মূল্যায়ন করে তাকে নৌকা প্রতিক দেওয়া হবে বলে সুব্রত লাল কুন্ডু আশাবাদী।

সুব্রত লাল কুন্ডুর সমর্থনে শনিবারের বিশাল এ শোডাউনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহমুদ হোসেন মাখন,যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি এটিএম মোস্তফা সরদার, উপজেলা কৃষকলীগের আহবায়ক এমএ ওহাব,ক্রীড়া সম্পাদক জাহিদ হোসেন জুয়েল,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল হুদা,আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল আলম মল্লিক,পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রহিম মাল,বন্দর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আইটি বিশেষজ্ঞ মনিরুজ্জামান আশরাফী, অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম, সাবেক ব্যাংকার ও আওয়ামী লীগ নেতা লক্ষ্মী নারায়ণ দেবনাথ,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দুলাল হোসেন মিয়া,আবুল হোসেন,বজলু লস্কর,ঢাকা মহানগর (উত্তর) ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মু.মুন্তাকিম লস্কর কায়েস ও সুমম রায় সুমন,বানারীপাড়া প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা,উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন,শিক্ষক হায়দার আলীসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ।

এসময় নেতা-কর্মীরা সৎ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিক সুব্রত লাল কুন্ডুকে নৌকার কান্ডারী করার দাবীতে স্লোগান স্লোগানে পৌর শহর মুখরিত করে তুলেন।

মুবার্তা/এস/ই

ফেসবুকে লাইক দিন