আজঃ শনিবার ● ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১ ● ২৭শে এপ্রিল ২০২৪ ● ১৭ই শাওয়াল ১৪৪৫ ● সকাল ৮:৫৬
শিরোনাম

By: মুক্তি বার্তা

জামিরা টু টালিখোলার রাস্তার বেহাল দশা, এ যেন দেখার কেউ নেই 

ফাইল ছবি

চৌগাছা (যশোর) সংবাদদাতাঃ চৌগাছায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের প্রায় তিন কিলোমিটার পাকা না হওয়ায় অন্তত দশ গ্রামের মানুষের কষ্ট চরমে উঠেছে। এ সড়কের কিছু অংশ এখনও রয়েছে কাঁচা, বাকি সড়ক সলিংকরণ করা হলেও সেই সলিং এর ইট উঠে যাওয়ায় পায়ে হেটে চলাও এখন কষ্টাসাধ্য হয়ে উঠেছে।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর কয়ারপাড়া গ্রামের মাঝ দিয়ে গেছে টালিখোলা-জামিরা সড়ক।এই সড়কটির তিন কিলোমিটার আজও পাকাকরণ হয়নি। কাঁচা সড়কের মাঝে মাঝে ইটের সলিং করা হলেও সেই সলিং স্থানীয়দের গলার কাটায় পরিনত হয়েছে। জনপ্রতিনিধিরা সড়কটি দ্রুতই পাকাকরণ হবে আশস্বাস দিলেও তা কথার মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছে, কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। স্থানীয় বাসিন্দা ইউছুপ আলী জানান, চৌগাছা-যশোর সড়কের টালিখোলা পরিচিত একটি জনপদ। কিন্তু সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার নাজুক পরিস্থিতির কারনে আমরা অনেকটাই পিছিয়ে আছি। সময়মত বাজারে যাওয়া আসায় বিঘ্ন ঘটছে। সড়কটি দ্রুত পাকা হওয়া জরুরী।
স্থানীয়রা জানান, কৃষি নির্ভর এলাকা হিসেবে খ্যাত কয়ারপাড়া, সাদিপুর, রুস্তমপুর, জামিরা, দক্ষিনসাগর, মাড়ূয়াসহ এ অঞ্চলের গ্রামগুলো। কৃষক তার উৎপাদিত পন্য দ্রুত বাজারজাত করার লক্ষে টালিখোলা-জামিরা সড়ক বেছে নেই। কিন্তু যখনই তারা উত্তর কয়ারপাড়া গ্রামের মধ্যে আসেন তখন পন্যবাহি বাহন নিয়ে পড়েন বিপাকে। সড়কের বেহাল দশার কারনে অনেক সময় পন্য বোঝাই ভ্যান নছিমন করিমন সড়কের পাশে উল্টে যায়। এ ছাড়া সড়কের পাশে হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি বিদ্যমান। কৃষক ওই জমিতে ফসল ফলিয়ে তা বাড়িতে আনার সময়ও সড়কের বেহালদশার কারণে বিপাকে পড়েন।
এলাকাবাসি বলেন, বর্তমানে সড়কের যে বেহালদশা তাতে করে ভ্যান ইজিবাইক চলা তো দূরের কথা, পায়ে হেটে চলাও দুরুহ ব্যাপার। যশোর শহর কিংবা চৌগাছা থেকে কোন বাহন চুক্তি করে নিয়ে এলে চালক টালিখোলা এসে আর গ্রামে যেতে চায়না। তখন বাধ্য হয়ে পায়ে হেটে যেতে হয় গন্তব্যে। এই সড়কের পাশে বসবাসকারী কোন ব্যক্তি হঠাৎ অসুস্থ্য হলে সেই অসুস্থ্য ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে হাসপাতালে নিতে সমস্যায় পড়তে হয়। বিশেষ করে সন্তান সম্ভবনা মা বোনদের বেলায় ওই কষ্ট কয়েক গুনের। বিষয়টি বিবেচনা করে গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দ্রুত পাকা করনের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসি।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ঠ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, ওই সড়কটি পাকাকরণের জন্য প্রায় দুই বছর ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্নও হয়েছে, আশা করছি চলতি মাসের মধ্যেই টেন্ডর সম্পন্ন হবে।
মুবার্তা/এস/ই

ফেসবুকে লাইক দিন