আজঃ বৃহস্পতিবার ● ১২ই বৈশাখ ১৪৩১ ● ২৫শে এপ্রিল ২০২৪ ● ১৫ই শাওয়াল ১৪৪৫ ● রাত ৯:০৭
শিরোনাম

By: মুক্তি বার্তা

চৌগাছায় বিবাহিতরাই ছাত্রলীগের নেতৃত্বে

ফাইল ছবি

চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের চৌগাছা উপজেলা ছাত্রলীগ চালাচ্ছে বিবাহিত ও চাকুরিজীবি ছাত্র নেতারা! শুধু তাই নয় কোনো কোনো ছাত্র নেতা আবার একাধিক বিয়েও করেছেন। কেউ আবার আওয়ামী নেতার বউকে ভাগিয়ে নিয়েই বিয়ে করেছেন।

গত ৬ বছর আগে অনুমোদিত হওয়া কমিটি আজ পর্যন্ত পূর্নাঙ্গ নাহলেও সংগঠনের দায়িত্ব নিয়ে প্রবাসি এবং সংগঠনের কর্মকান্ডের সাথে জড়িত নেই এমন নেতাদের নিয়েই চলছে সংগঠনটি। ডাকযোগে কেন্দ্র ছাত্রলীগের সভাপতি/সম্পাদক ও দপ্তর সম্পাদক বরাবর এমনটাই লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিক হায়দার লাভলু। শফিক হায়দার লাভলু নিজেই বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।
শফিক হায়দার লাভলু স্বাক্ষরিক লিখিত অভিযোগে উল্লেখ আছে যে, উপজেলা ছাত্রলীগের বেশিরভাগ নেতাই বিবাহিত। তাদের মধ্যে সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন দু’বার (২০১২ এবং ২০১৬) এবং সাংগঠনিক সম্পাদক তিনবার বিয়ে করেছেন এবং তার একটি কন্যা সন্তানও আছে। সহ-সভাপতি সাদেকুর রহমান আওয়ামী লীগ নেতা সোলাইমান হোসেনের বউকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করেছেন। তার প্রতিবাদে সেই আওয়ামী লীগ নেতা সোলাইমান হোসেন প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সন্মেলনও করেছিলেন। সাধারন সম্পাদক শফিকুজ্জামান রাজু কিছুদিন আগে বিয়ের পিড়িতে বসেছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ হাসান বিদ্যুৎও বিবাহিত। এসকল নেতাদের মধ্যে সাধারন সম্পাদক শফিকুজ্জামন রাজু এখন যশোর জেলা পরিষদের কম্পিউটার ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কর্মরত। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রিন্স আহমেদ কুয়েত প্রবাসি। সদস্য জিহাদ হোসেনকে কমিটি অনুমোদনের পর থেকে কোনো রাজনৈতিক কর্মকান্ডে দেখা যায়নি বলেও উল্লেখ আছে। এছাড়াও
ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক ২০১৫ সালে চৌগাছা পৌর নির্বাচন (নারিকেল গাছ প্রতিকে) এবং ২০১৯ সালে উপজেলা (আনারস প্রতিকে) নির্বাচনে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনে অংশগ্রহন করেছেন। লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন শফিক হায়দার লাভলু অভিযেগপত্রে বর্তমান ছাত্রলীগের সভাপতির মামলার কপি, বিয়ের কাগজ ও ছবি,সভাপতির স্ত্রীর প্রসূতি বিভাগে ভর্তির টিকিট, সাধারন সম্পাদতের বিয়ের কাবিননামা, সাংগঠনিক সম্পাদকের স্ত্রীর প্রসূতির ভর্তিও টিকিট,স্থানীয় পত্রিকায় সভাপতি সম্পাদকের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদেও কপি, সাধারন সম্পাদকের চাকুরির ঘোষনা পত্র, এবং বিগত পৌর ও উপজেলা নির্বাচনে দলের বিরুদ্ধে অংশগ্রহনের প্রচারনার ছবি প্রমানস্বরুপ সংযুক্ত করেছেন।
এবিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম হুসাইন বলেন, আমাদের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি যেমন শার্শা ১০, কেশবপুর ৮, অভয়নগর ১০, মনিরামপুর ১০, বাঘারপাড়া সাড়ে ৫,ঝিকরগাছা ৫, যশোর সদর ৫ এবং যশোর পৌর ছাত্রলীগের বয়স ৫ বছর হয়েছে। যেহেতু আমাদেও কমিটির মেয়দ শেষ তাই আমরা আমাদেও স্থানীয় এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব) অধ্যাপক ডা.নাসির উদ্দিনের সাথে কথা বলেছি। কেন্দ্রী ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দেও সাথে কথা বলে সুন্দও একটি সন্মেলনের মাধ্যমে আমরা নতুনদেরকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবো।
সাধারন সম্পাদক শফিকুজ্জামান রাজু বলেন,যখন ছাত্রলীগের কমিটি হয় তখন আমরা কেই বিবাহিত ছিলাম না। এছাড়াও অঅমরা দু’দুবার পূর্নাঙ্গ কমিটির তালিকা জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু কিএক অদ্রশ্য কারনে আমাদেও সেই কমিটি আরোর মুখ দেখেনি। তবে অচিরেই আমরা আমাদের স্থানীয় সাংসদ ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে সন্মেলনের মাধ্যমে দায়িত্ব হস্তান্তর করবো।
অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ প্রচার সম্পাদক শফিক হায়দার লাভলু।

মুবার্তা/এস/ই

ফেসবুকে লাইক দিন