ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মূল্যায়ন চান বানারীপাড়ার ত্যাগী ছাত্রলীগ নেতা মনির বিশ্বাস

 মনির বিশ্বাস। তিনি বলেন দীর্ঘদিন পর্যন্ত তার পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে রয়েছে। ১১৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরে তাদের পরিবারকে অনেক নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। তার পরেও আওয়ামী লীগের রাজনীতি সক্রিয় রাখতে এলাকার মেঠো পথ থেকে পিচঢালা আর পাড়া থেকে মহল্লায় চষে বেড়িয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। তিনি তখন সরকারি ফজলুল হক কলেজের ছাত্র। দল বিরোধী অবস্থানে থাকলেও কলেজে দল ঘোষিত সকল কর্মূসূচি পালন করেছেন সকল ভয়ভীতির উর্ধ্বে উঠে। ফলে তার সততা,আদর্শ ও সাংগঠনিক দক্ষতা বিবেচনা করে তৎকালীন বরিশাল জেলা ছাত্রলীগ তাকে ১৯৯১ সালে ওই কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করেন। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাননি এই ছাত্রনেতা। কলেজ শাখাকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এক শক্ত ঘাটিতে রূপান্তর করার কঠিন কাজে নেমে পড়েন তিনি, এক সময় অনেকটা সফলও হন। যার উপহার স্বরূপ বরিশাল জেলা ছাত্রলীগ ১৯৯৪ সালে সরকারি ফজজূল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচন করেন তাকে। সংগঠনের গঠনতন্ত্র মেনে সংগঠন পরিচালনা করায় কলেজ শাখা ছাত্রলীগ এলাকায় অনেক সুনাম অর্জন করেন। ওই সময়ে বিভিন্ন দলের সমর্থক, সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে উপ-মহাদেশের প্রাচিনতম সর্ববৃহৎ ছাত্র সংগঠনের পতাকাতলে সামিল হন। এরমধ্যেই মনির বিশ্বাসকে ১৯৯২ সালে বানারীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটির সহ-সভাপতি নির্বাচিত করেন জেলা ছাত্রলীগ। ওই কমিটির দায়িত্ব পালন করেন ২০০৬ সাল পর্যন্ত। দীর্ঘ এই সময় রাজনীতি করতে গিয়ে অনেক হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি সহ তার পরিবারের সদস্যরা। ১৯৯৬ সালে স্বাধীনতা অর্জনকারীদল মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলেও  স্থানীয়ভাবে

ত্যাগী-পরিক্ষীত আওয়ামী পরিবার ও সদস্যদের তেমন মূল্যায়ন করা হয়নি। মূলত যারা প্রকৃত দলের লোক ছিলো তাদেরকে আরও দুরে সড়িয়ে রাখা হয়েছিলো। বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন সর্বক্ষেত্রে ত্যাগী ও নির্যাতিতদের মূল্যায়ন করা হবে। তাই দীর্ঘদিনের ত্যাগী, পরিক্ষীত ও নির্যাতিত ছাত্রনেতা মনির বিশ্বাসের ঐকান্তিক

বিশ্বাস দল তাকে সঠিক মূল্যায়ন করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৫নং সলিয়াবাকুর ইউনিয়ন থেকে দেশ গঠনের প্রতীক নৌকা উপহার দিবেন।

মুবার্তা/এস/ই