আজঃ শুক্রবার ● ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১ ● ২৬শে এপ্রিল ২০২৪ ● ১৬ই শাওয়াল ১৪৪৫ ● সকাল ৯:৩৮
শিরোনাম

By: মুক্তি বার্তা

কৃষি বিভাগের অভিযান, চৌগাছায় ১১০ কেজি নকল দস্তা সার ধ্বংস

ফাইল ছবি

চৌগাছা প্রতিনিধিঃ যশোরের চৌগাছায় আবারো ১১০ কেজি নকল দস্তা সার জব্দ করে ধ্বংস করেছে কৃষি বিভাগ। রোববার দুপুরে শহরের মিন্টু ট্রেডার্স থেকে ৭০ কেজি জিংক প্লাস দস্তা ও ২০ কেজি চায়না শক্তিমান জিংক সালফেট এবং অপু ট্রেডার্স থেকে ২০ কেজি জিংক প্লাস দস্তা সার জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।
উপজেলা কৃষি অফিসার রইচ উদ্দিনের নেতৃত্বে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন ও উপ-সহকারী কৃষি অফিসার সাইফুল ইসলাম এ অভিযান পরিচালনা করেন। ধ্বংস করার সময় দোকান দুটির সত্বাধিকারী মিন্টু মিয়া ও অপু ট্রেডার্সের সত্বাধিকারী ঠান্ডু মিয়া, স্বরূপদাহ ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আনোয়ার হোসেন, চৌগাছা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক অমেদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি চৌগাছা শহরে অভিযান চালিয়ে অপু ট্রেডার্সে থাকা ১৫০ কেজি নকল দস্তা সার ধ্বংস করা হয়। তখন দেকানি ঠান্ডু মিয়া সাংবাদিকদের বলেছিলেন তিনি বুঝতে না পেরে নকল সার ক্রয় করেছেন, ভবিষ্যতে আর এমন করবেন না। সে সময় আরো কয়েকজন ব্যবসায়ীর দোকানে প্রায় ৫ হাজার কেজি নকল দস্তা সার জব্দ করে রাখা হয়। পরে শহরের মেজবার ট্রেডার্স নামের একজন ব্যবসায়ী জব্দ করে রাখা নকল সার গুদাম থেকে সরিয়ে ফেলায় ২১ জানুয়ারি মেজবার ট্রেডার্সে অভিযান চালিয়ে ওই সার না পাওয়া যাওয়ায় ভ্রাম্যমান আদালত চালিয়ে তার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এরপরও রোববার অপু ট্রেডার্সে আবারো ২০ কেজি নকল জিংক প্লাস দস্তা সার পাওয়া যায়। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩ হাজার ৮শ টাকা। এছাড়া মিন্টু ট্রেডার্সে অভিযান চালিয়ে ৭০ কেজি নকল জিংক প্লাস দস্তা সার ও ২০ কেজি চায়না শক্তিমান জিংক সালফেট যার বাজার মূল্য ১৩ হাজার ৮শ টাকা ধ্বংস করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার রইচ উদ্দিন বলেন গত ১৭ জানুয়ারি অপু ট্রেডার্সে থাকা নকল ১৫০ কেজি দস্তা ধ্বংস করার পরও আজ তার দোকানে আরো ২০ কেজি নকল দস্তা সার পাওয়া যায়। দোকানি বলেছেন আগের সারই তার দোকানে ছিল। এছাড়া মিন্টু ট্রেডার্স থেকে ৭০ কেজি জিংক প্লাস দস্তা ও ২০ কেজি চায়না শক্তিমান জিংক সালফেট জব্দ করে দোকানিদের দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। তিনি জানান এই নকল দস্তা সারের বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার টাকা। তিনি আরো বলেন এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মুবার্তা/এস/ই

ফেসবুকে লাইক দিন