আজঃ রবিবার ● ২২শে বৈশাখ ১৪৩১ ● ৫ই মে ২০২৪ ● ২৫শে শাওয়াল ১৪৪৫ ● রাত ৮:১৪
শিরোনাম

Byঃ মুক্তি বার্তা

শেরে বাংলার চাখারকে তিলোত্তমায় রুপান্তর করতে আবারও নৌকার মাঝি হতে চান খিজির সরদার

ফাইল ছবি

রাহাদ সুমন, বিশেষ প্রতিনিধি॥
অবিভক্ত বাংলার মূখ্যমন্ত্রী শের-ই বাংলা আবুল কাসেম ফজলুল হকের পূন্যভূমি চাখার ইউনিয়নকে  আলোকিত এক তিলোত্তমা ইউনিয়নে রূপান্তর করতে আবারও নৌকার মাঝি হতে চান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি,চাখার সরকারী ফজলূল হক কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস ও  বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ খিজির সরদার । ১৯৭৫ সালের অচিন্তনীয় বিয়োগান্তুক অধ্যায়ের পরে নিষ্ক্রিয় আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত করতে তৎকালীণ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সর্বজন শ্রদ্ধেয় সৈয়দ আমিনুল ইসলাম জাকির স্যারের মাধ্যমে ১৯৭৭ সালে চাখার সরকারী ফজলুল হক কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে খিজির সরদারের  রাজনীতিতে আনুষ্ঠানিক হাতে খড়ি। এর পর ওই কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদকের দায়িত্ব পালণ করে মেধাবী ও জনপ্রিয় ছাত্রনেতা হিসেবে ১৯৮০-৮১ শিক্ষা বর্ষে ছাত্র সংসদের জিএস নির্বাচিত হন। ওই সময় তুখোর ছাত্রনেতা হিসেবে ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত ও সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালণ করেন। তিনি ১৯৮৬ সালে উপজেলা আওয়ামীলীগের সমাজকল্যান সম্পাদক ও পরবর্তীতে দুই বার উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ও বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। এছাড়া তিনি  প্রায় তিন দশক চাখার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি  ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব  পালণ করে দলকে সুসংগঠিত করেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা,দারিদ্র,সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত শোষণ-বৈষম্যহীন,অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল স্বপ্নের সোনারবাংলা বির্নিমান করতে দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৪ দশক ধরে তৃনমূলে রাজনীতি করা দুঃসময়ের পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতা মুজিব অন্তঃপ্রাণ খিজির সরদার বিএনপি-জামায়াতের বিভীষিকাময় সময়ে  সন্ত্রাস কবলিত জনপদ চাখারে আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত করে আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালণ করেন । তখন তিনি বিএনপি-জামায়াতের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে এলাকায় থেকে রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যান এবং বিশাল কর্মী বাহিনী নিয়ে উপজেলা,জেলা ও কেন্দ্রে দলের প্রতিটি সভা-সমাবেশে অংশগ্রহণ করতেন। ওই সময় বিএনপি-জামায়াতের রোষানলে পড়ে মিথ্যা মামলা ও  নির্যাতন সহ নানা হয়রানির শিকার হন তিনি। চাখারের চাউলাকাঠি সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার গভর্নি বডির সভাপতি ও সোনাহার দাখিল মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি এবং ঐতিহ্যবাহী চাখার  ফজলুল হক ইনস্টিটিউশন ও  ওয়াজেদ মেমোরিয়াল বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের  সাবেক অভিভাবক ও শিক্ষানুরাগী সদস্য খিজির সরদার এলাকায় একজন শিক্ষানুরাগী, সদালপি, পরোপকারী, অন্যায়ের প্রতিবাদকারী, ষ্পষ্টভাষী, সন্ত্রাস-দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপসহীন, বিনয়ী, মিষ্টভাষী ও সৎ হিসেবে সর্বমহলে সুপরিচিত। ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে তিনি নৌকার টিকিটে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে গত ৫ বছর ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে চাখার ইউনিয়নকে উন্নত,আধুনিক ও সমৃদ্ধ ইউনিয়নে রূপ দিয়েছেন। আসন্ন ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান  নির্বাচিত হতে পারলে তিনি শেরে বাংলার পূণ্যভ’মি চাখারকে সন্ত্রাস,দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত,আদর্শ,আধুনিক এক আলোকিত ডিজিটাল ইউনিয়নে রুপান্তর করবেন বলে জানান। তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরতœ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল উপজেলা হিসেবে বানারীপাড়াকে এবং প্রথম ডিজিটাল ইউনিয়ন হিসেবে চাখারকে গড়ে তুলতে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে নিরলসভাবে অসমাপ্ত কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

মুবার্তা/এস/ই

ফেসবুকে লাইক দিন