আজঃ মঙ্গলবার ● ১০ই বৈশাখ ১৪৩১ ● ২৩শে এপ্রিল ২০২৪ ● ১৩ই শাওয়াল ১৪৪৫ ● বিকাল ৩:০৩
শিরোনাম

By: মুক্তি বার্তা

আসুন যা সামর্থ্য তাই নিয়ে প্রতিবেশীর পাশে দাঁড়াই

ফাইল ছবি

সোহেল সানি:

শেখ হাসিনা মোহনীয় ব্যক্তিত্বের আকর্ষণে সবার হৃদয় জয় করেছেন
নিশ্চয়ই করোনা মহামারীতেও তাঁর নেতৃত্ব সফল হবে।
শেখ হাসিনার খাঁটি দেশপ্রেম ও বাঙালি জাতির মহত্ত্ব একই প্রস্রবণ হতে উৎসারিত। দেশের মহামারি, দুর্যোগ আর সংকটে তা বারবার প্রমাণ করলেন জাতির পিতার কন্যা।
মরণঘাতক করোনার নীল দংশন হতে বাঁচাতে তাঁর মানবীয় গুণাবলীর ফল্গুধারা এখন একই স্রোতস্বিনীর শাশ্বত স্রোতধারায় প্রবাহিত। একই মহামানবের সাগরে যা লীন হয়েছে।
নেই কোনো ধর্মবর্ণ গোত্র। এই করোনার করাল গ্রাসে যতটাই প্রাণ কেড়ে নিক না কেন, আর যতই আক্রান্ত হোক না কেনো এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সফল হবেন।
শেখ হাসিনা মোহনীয় ব্যক্তিত্বের আকর্ষণে সবার হৃদয় জয় করেছেন ইতিমধ্যে। যে কারণে টু টা শব্দটিও নেই। ত্রাণ চোরেরা চুরি না করলে শেখ হাসিনার সরকারের ভাবমূর্তি সমুজ্জ্বল হতে পারতো কতটা, তা আওয়ালীগ নামধারী গণপ্রতিনিধারা উপলব্ধি করার মতো নয়। এদেরকে বিদায় করতে হবে। এতে এদের বিরুদ্ধে সত্যিকারের তেজস্বী বিরোধীদল থাকলে অতীতের ন্যায় ইস্পাত কঠিন আন্দোলনের শিকার হতে হতো সরকারকে। যার সম্পূর্ণ ব্যর্থতার গ্লানি সরকার প্রধানের ওপরই বর্তাতো। অথচ, সরকার প্রধান হিসেবে বঙ্গবন্ধুর পর তাঁর মতো আর দেশপ্রেমিক মানবতাবাদী আর কেউ নন। দু’চার জন মন্ত্রী বাদ দিলে সরকার বলতে মন্ত্রী পরিষদ নয়, সংসদও নয় এককভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই সর্বেসর্বা। নাম মাত্র একটি মন্ত্রিসভা। শেখ হাসিনা দেশকে এমন একটা সুউচ্চ শিখরে অবতীর্ণ করেছেন যে, বিদেশ রাষ্ট্রনায়করাও ভূয়সী প্রশংসায়। মানুষ সংখ্যাগরিষ্ঠ কে আর কে সংখ্যালঘিষ্ঠ তা আর আমলে নিতে চাচ্ছে না। এর কারণ মানুষ চায় শান্তি, শৃঙ্খলা, আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীল বাংলাদেশ। তারা হরতাল, রাহাজাহী, সংহিসতায় অগ্নিসংযোগের অতীতে ফিরতেও চায় না। শেখ হাসিনা বিশ্বে সমাদৃত হয়েছেন নেতৃত্বগুণে। ভবিষ্যতের চিত্র কীভাবে হবে, তা আল্লাহ জানেন। কেননা করোনা এমন মরণঘাতক তা থেকে নিস্তার পেতে সারা পৃথিবী নাস্তানাবুদ। এই ভাইরাস নামক করোনার প্রতিশোধ ওষুধ আবিস্কার নিয়ে তারা দিশেহারা। উৎকণ্ঠিত। বিশ্বই বিচ্ছিন্ন। পরাশক্তির উপনিবেশিক শাসন এখন ফাঁপা বেলুনের মতো ফেটে গেছে। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা।
আশার কথা হচ্ছে, সব রাষ্ট্র বা সরকার প্রধান যখন দিগ্বিদিকশুন্য, আকাশেপানে তাকিয়ে, তখন পবিত্র জায়নামাজে  প্রার্থনায় প্রধানমন্ত্রী। দেশের অনেক তারকা ব্যক্তিত্ব চিরঅচেনা দেশে করোনার চলে গেছে বহু প্রাণ। তারপরও নির্জীব বা নির্বিকার নন প্রধানমন্ত্রী। রোম যখন পুড়ছিল, তখন নীরু বাঁশি বাজাচ্ছিলো, আর শেখ হাসিনা দুর্দমনীয় অসীম সাহসে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার সর্বোত্তম পন্থা উদ্ভাবনের প্রচেষ্টারত। মৃত্যুতে শোক বিহ্বল হলেও রাষ্ট্রনায়কের মনোবৃত্তিতে জাতির মনোবলকে চাঙ্গা রাখছেন। চিকিৎসক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সাংবাদিক সবার পরিবারের প্রতি মানবাধিকার হাত প্রসারিত করেছেন। সত্যি তিনি গুনীমান্যি  মানবতাৎসর্গী এক প্রাণ।
জননেত্রী থেকে দেশরত্নের অভিধা তাঁর প্রাপ্য। তাঁর দীর্ঘসময়ের শাসনকর্মে প্রমাণ মিলেছে, কর্তব্য সম্পাদনের হিমাদ্রি সদৃশ্য এক অটল প্রতিজ্ঞা তাঁর চরিত্রের বৈশিষ্ট্য। দৃঢ়তা তাঁর দৃষ্টিতে বিরাজমান। একেকটি সংকটে তিনি উদ্যোমী আত্মবিশ্বাসী আধুনিক বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা শুধু নয়, নির্মাতাও। শতসহস্র বিক্ষোভ, বিদ্রোহের ভ্রূকুটি, ইস্পাত-দৃঢ়  বিরোধিতার হুঙ্কার, তেজস্ক্রিয় আন্দোলন ও অবিরাম অগ্নিস্ফুলিঙ্গের আশঙ্কিত দাবানলে সরকার টলকানোর জঙ্গি হেফাজতের তাণ্ডবী ধ্বংসযজ্ঞের সম্ভাবনাকে নস্যাৎ করেছেন। অস্থিরতা তাঁকে কর্তব্যকর্ম থেকে এতটুকু টলাতে পারেনি, এটাই তাঁর দূরদর্শী সুযোগ্য রাষ্ট্রনায়কের পরিচয়। কোনো পরাশক্তি শেখ হাসিনাকে পারছে না তাঁর স্বীয় আদর্শ ও উদ্দেশ্য থেকে লক্ষ্যভ্রষ্ট করতে।
বিরাট কর্ম-সম্পাদনের জন্যেই মহান আল্লাহ তাঁকে বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় আসনে আসীন করে সুমহান দায়িত্ব অর্পণ করেছেন। ধ্যানগম্ভীর মৌনঋষির মতো নীরবে শুধু কাজ করে যাচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রীর জীবন-মৃত্যু নিয়েও নানা গুজব রটিয়ে খুশির জোয়ারে গা ভাসিয়েছেন একটি মহল। তারা বঙ্গবন্ধুর হত্যার সুফলভোগকারী। তাদের সমর্থকরা নিঃশেষিত নয়, তবে তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না ইতিবাচক রাজনীতির ধারায় ফিরতে না পারলে। সৃষ্টিকর্তা করোনায় কার কখন প্রাণ সংহার করবে তা সৃষ্টিকর্তা অবগত। তবে দেশের এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় বেশি প্রয়োজন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেঁচে থাকা। কারণ চোখ বুঝে কল্পনা করে দেখছি, বর্তমান নেতৃত্বে শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনা। অন্যের আয়ুকাল নিয়ে বলার ঔদ্ধত্য প্রদর্শন সমীচীন নয়। আল্লাহ ব্যতীত কারো মৃত্যু সম্পর্কে আগাম বলাও গহির্ত অপরাধ। তবে আমি এতটুকু উদার মনস্ক ভাববোধ হতে স্বেচ্ছায় বলতে দ্বিধা করছি না যে, চোখে বুঝে দেখছি প্রধানমন্ত্রী বিহীন বাংলাদেশ অন্ধকার। আমার সন্তানদের মতো লাখো সন্তানের ভবিষ্যত অনিশ্চিত। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় লালিত। আল্লাহ না করুন, পেশীশক্তির জোরে জঙ্গী উগ্রবাদীরা রাষ্ট্র দখল করলে আমাদের সন্তানেরা ৭১ এর পরিণতি বরণ করবে। সেই চিন্তায় আমি ঘুমেবিভোর থাকলে আচমকা লাফিয়ে চিৎকার করে উঠি। স্বপ্নে দেখি আমার কোমলমতি সন্তানরা স্কুল হতে উধাও হয়ে গেছে। আমার একার নয় প্রতিহিংসার নীল দংশনে বাঙালীরা চিরতরে নিঃশেষ হয়ে যাবো। ভয়ঙ্কর করোনা নিয়ে অশুভ কোনো ভাবনা নয়,
শেখ হাসিনার আহবানে আসুন যা সামর্থ্য তাই নিয়ে প্রতিবেশীর পাশে দাঁড়াই। মানুষকে নিরাপদে রাখতে সচেতন করি। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন শেখ হাসিনাকে রক্ষা করবে দেশমাতৃকার জন্য। শেখ হাসিনা আল্লাহর কৃপায় তাইতো বারবার মৃত্যু দুয়ার থেকে ফিরে আসেন। তার মহান পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাকে ডিজিটাল রূপে সাজাচ্ছেন কি নিরলস শ্রম দিয়ে। যা বিশ্বের কাছে আজ উন্নয়নের রোল মডেল। নিশ্চয়ই করোনা মোকাবিলায়ও তিনি সফল হবেন।

লেখকঃ সিনিয়র সাংবাদিক, কলামিস্ট ও ইতিহাস বিশেষজ্ঞ।

ফেসবুকে লাইক দিন