আজঃ বৃহস্পতিবার ● ১৪ই চৈত্র ১৪৩০ ● ২৮শে মার্চ ২০২৪ ● ১৭ই রমযান ১৪৪৫ ● বিকাল ৩:৩৪
শিরোনাম

By: মুক্তি বার্তা

মৃত নারীদের ধর্ষণ করার অভিযোগে গ্রেপ্তার

ফাইল ছবি

নিউজ ডেস্কঃ হাসপাতালের মর্গে মৃত নারীদের ধর্ষণ করার অভিযোগে গ্রেপ্তার মুন্না ভগতের বিরুদ্ধে পৃথক দুই মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২০ আগস্ট) আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গত ৩০ মে শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় মুন্না ভগতের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সুব্রত কুমার রায়। তবে সে সময়ে চার্জশিট জমা দিলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে আদালতের কার্যক্রম স্থগিত থাকায় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এর আগে ২০ নভেম্বর সিআইডির করা মামলায় আসামি মুন্না আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত বছরের ১০ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানার এসআই মো. আল আমিন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এরপর ২৫ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানার এসআই সনজিৎ কুমার ঘোষ বাদী মুন্নার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন।

জানা যায়, মুন্না ভগত সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গের ডোম জতন কুমার লালের সহযোগী হিসেবে কাজ করতো। দুই-তিন বছর ধরে সে মর্গে থাকা মৃত নারীদের ধর্ষণ করে আসছিল। সম্প্রতি এ রকম একটি অভিযোগ পেয়ে মুন্নার বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে সিআইডি। প্রাথমিক অনুসন্ধানে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় মুন্নাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুন্না মৃত নারীদের ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে দায়িত্বরত ডোম ও মুন্নার মামা জতন কুমার লাল জানান, মুন্না গত দুই থেকে তিন বছর ধরে তার সহযোগী হিসেবে মর্গে কাজ করছিলেন। তার বাবার নাম দুলাল ভগত। গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ বাজারে। তিনি আরও দুই থেকে তিনজনের সঙ্গে মর্গের পাশে একটি কক্ষেই রাতে থাকতেন।

২০১৯ সালের ২৯ মার্চ থেকে ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট পর্যন্ত অন্তত পাঁচজন মৃত কিশোরীর মরদেহ ধর্ষণ করা হয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছে সিআইডি।

ফেসবুকে লাইক দিন