আজঃ শনিবার ● ৭ই বৈশাখ ১৪৩১ ● ২০শে এপ্রিল ২০২৪ ● ৯ই শাওয়াল ১৪৪৫ ● রাত ২:১১
শিরোনাম

By: মুক্তি বার্তা

মেজর সিনহা হত্যা মামলা থেকে খালাস পাওয়া ৭ জন বাড়ি ফিরে গেলেন

ফাইল ছবি

কায়সার হামিদ মানিক, কক্সবাজার প্রতিনিধি।
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলা থেকে খালাস পাওয়া সাত পুলিশ সদস্য কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তারা কারামুক্ত হয়ে নিজ নিজ বাড়ি ফিরে গেছেন।
ওসি প্রদীপ আর লিয়াকত আলাদা আলাদা কনডেম সেলে রয়েছেন। তবে তারা স্বাভাবিকভাবেই রয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার নেছার আলম।
মেজর সিনহা পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার ১৮ মাস পর সোমবার এ মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা হয় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে। জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল মামলার প্রধান আসামি পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত ও টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে মৃত্যুদণ্ড, অপর ছয়জনকে যাবজ্জীবন ও বাকি সাত আসামিকে বেকসুর খালাস দেন।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সাবেক সরকারি কৌশুলি এবং রায়ে খালাসপ্রাপ্ত সাতজনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মমতাজ আহমেদ জানান, আদালতের রায়ে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় মঙ্গলবার জেলা কারাগার থেকে তার সাত মক্কেলকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তারা সন্ধ্যায় নিজ নিজ পরিবারের কাছে ফিরে গেছেন।
কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার নেছার আলম বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস পান এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ।
আদালতের নির্দেশটি সোমবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার কারাগারে আসার পর তাদের মুক্ত করে দেওয়া হয়। আদালতের আদেশের মধ্যেই লেখা ছিল আদেশটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের মুক্ত করে দেওয়ার জন্য।
এ ছাড়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকতকে পৃথকভাবে কনডেম সেলে রাখা হয়েছে উল্লেখ করে বাকি যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে স্থানীয় তিনজনকে সাধারণ কয়েদিদের সঙ্গে এবং তিন পুলিশ সদস্যকে পৃথকভাবে রাখা হয়েছে বলেও জানান জেল সুপার।
জেল সুপার নেছার আলম আরও জানান, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত স্বাভাবিক রয়েছে। তবে তারা চুপচাপ রয়েছে। তাদের স্বাভাবিকভাবে খাবার দেওয়া হচ্ছে এবং তারাও খাবার গ্রহণ করছে।

ফেসবুকে লাইক দিন